গল্পগুচ্ছ i २b*S বুঝি না, তখন এই অনাথ ভগ্ন হৃদয়ের হালটাকে প্রাণপণে দুই হাতে বক্ষে চাপিয়া ধরি ; বুক দিয়া রক্ত বাহির হইয়া যায় তৰু তুফান সামলাইতে পারি না ; আমার আর কত পরীক্ষা করিবে, আমার কতটুকুই বা বল।” এই বলিতে বলিতে অশ্রু উচ্ছ্বলিত হইয়া উঠিল, খাটের উপর মাখ রাখিয়া কাদিতে লাগিলাম। সমস্ত দিন ঘরের কাজ করিতে হয়। হেমাঙ্গিনী ছায়ার মতো কাছে কাছে থাকে, বুকের ভিতরে যে অশ্র ভরিয়া উঠে সে আর ফেলিবার অবসর পাই না। অনেক দিন পরে জাজ চোখের জল বাহির হইল। এমন সময় দেখিলাম, খাট একটু নড়িল, মানুষ চলার উলখু শব্দ হইল এবং মুহূর্তপরে হেমাঙ্গিনী আসিয়া আমার গলা জড়াইয়া ধরিয়া নিঃশব্দে অঞ্চল দিয়া আমার চোখ মুছাইয়া দিতে লাগিল। লে-ষে সন্ধ্যার আরম্ভে কী ভাবিয়া কখন আসিয়া খাটেই শুইয়াছিল, আমি জানিতে পারি নাই। সে একটি প্রশ্নও করিল না, আমিও তাহাকে কোনো কথাই বলিলাম না । সে ধীরে ধীরে তাহার শীতল হস্ত আমার ললাটে বুলাইয়া দিতে লাগিল। ইতিমধ্যে কখন মেঘগর্জন এবং মুষলধারে বর্ষণের সঙ্গে সঙ্গে একটা বড় হইয়া গেল বুঝিতেই পারিলাম না ; বহুকাল পরে একটি স্বস্নিগ্ধ শাস্তি আসিয়া আমার জরদাহদগ্ধ হৃদয়কে জুড়াইয়া দিল । পরদিন হেমাঙ্গিনী কহিল, “কাকি, তুমি যদি বাড়ি না যাও আমি আমার কৈবর্তদাদার সঙ্গে চলিলাম, তাহ বলিয়া রাখিতেছি।” পিলিমা কহিলেন, “তাহাতে কাজ কী, আমিও কাল যাইতেছি ; একসঙ্গেই যাওয়া হইবে। এই দেখ হিমু, আমার অবিনাশ তোর জন্তে কেমন একটি মুক্ত-দেওয়া আংটি কিনিয়া দিয়াছে।” বলিয়া সগৰ্বে পিলিমা আংটি হেমাঙ্গিনীর হাতে দিলেন। হেমাঙ্গিনী কছিল, “এই দেখে। কাকি, আমি কেমন স্বন্দর লক্ষ করিতে পারি।” বলিয়া জানলা হইতে তাক করিয়া আংটি খিড়কি পুকুরের মাঝখানে ফেলিয়া দিল। পিসিমা রাগে দুঃখে বিস্ময়ে কণ্টকিত হইয়া উঠিলেন। আমাকে বারম্বার করিয়া হাতে ধরিয়া বলিয়া দিলেন, “বউমা, এই ছেলেমানষির কথা অবিনাশকে খবরদার বলিয়ো না ; ছেলে আমার তাহা হইলে মনে দুঃখ পাইবে । মাখ। খাও, বউমা ।” অামি কছিলাম, আর বলিতে হইবে না পিলিমা, আমি কোনো কথাই বলিব না।” भरन ब्रांशिग * यांशि इहे शंउ बांब्रचांद्र डांशंग्र ब्रूष बूलहेिबां कश्णिांश, “चक किहू ভোলে না, বোন ; আমার তো জগৎ নাই, আমি কেবল মন লইয়াই আছি।" বলিয়া তাহার মাথাটা লইয়া একবার জাম্রাণ করিয়া চুম্বন করিলাম। বর্বর করিয়া তাহার কেশরাশির মধ্যে আমার অশ্রু বারিয়া পড়িল । I
