পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రిఅవ রবীন্দ্র-রচনাবলী বিশ্বম্ভর । কিন্তু এখন করা যায় কী ? তৃণাঞ্জন। আমাদের আচার্যদেবকে এখনই ফিরিয়ে জানি গে। তিনি থাকলে এ বিপত্তি ঘটতেই পারত না । হাজার হোক লোকটা পাকা । সঞ্জীব । কিন্তু দেখো মহাপঞ্চক, অামাদের আয়তনের ষদি কোনো বিপত্তি ঘটে তা হলে তোমাকে টুকরো টুকরো করে ছিড়ে ফেলব। উপাধ্যায়। সে পরিশ্রমটা তোমাদের করতে হবে না, উপযুক্ত লোক আসছে। মহাপঞ্চক। তোমরা মিথ্যা বিচলিত হচ্ছ। বাইরের প্রাচীর ভাঙতে পারে, কিন্তু ভিতরের লোহার দরজা বন্ধ আছে। সে যখন ভাঙবে তখন চন্দ্রস্থর্য নিবে যাবে। আমি অভয় দিচ্ছি তোমরা স্থির হয়ে দাড়িয়ে অচলায়তনের রক্ষক-দেবতার আশ্চর্য শক্তি দেখে নাও । উপাধ্যায়। তার চেয়ে দেখি কোন দিক দিয়ে বেরোবার রাস্ত । (h তৃণাঞ্জন। আমাদেরও তো সেই ইচ্ছা। কিন্তু এখান থেকে বেরোবার পথ যে জানিই নে। কোনোদিন বেরোতে হবে বলে স্বপ্নেও মনে করি নি। সঞ্জীব । শুনছ— ঐ শুনছ, ভেঙে পড়ল সব । ছাত্রগণ: কী হবে আমাদের ! নিশ্চয় দরজা ভেঙেছে । তৃণাঞ্জন | ধরে মহাপঞ্চককে। বাধো ওকে। একজটা দেবীর কাছে ওকে বলি দেবে চলো । মহাপঞ্চক। সেই কথাই ভালো। দেবীর কাছে আমাকে বলি দেবে চলো। র্তার রোষ শাস্তি হবে। এমন নিষ্পাপ বলি তিনি আর পাবেন কোথায় । ". # o o বালকদলের প্রবেশ উপাধ্যায়। কী রে, তোরা সব নৃত্য করছিস কেন ? প্রথম বালক । আজ এ কী মজা হল ! উপাধ্যায়। মজাটা কী রকম শুনি ? দ্বিতীয় বালক । অাজ চার দিক থেকেই আলো আসছে – সব যেন ফাক হয়ে গেছে । তৃতীয় বালক । এত আলো তো আমরা কোনোদিন দেখি নি। প্রথম বালক। কোথাকার পাখির ডাক এখান থেকেই শোনা যাচ্ছে। দ্বিতীয় বালক । এ-সব পাখির ডাক আমরা তো কোনোদিন শুনি নি। এ তো আমাদের খাচার ময়নার মতো একেবারেই নয়।