পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Nòd R রবীন্দ্র-রচনাবলী ময়ুর সঙ্গে নরেশ ও বিপাশার প্রবেশ বিপাশা । (নরেশের প্রতি) কবি নরোত্তম, ঐদের বঞ্চিত কোরো না । তোমাকে গান গাইতে বলতে সাহস পাই নে। কিন্তু আমি তো তোমারই শিয্যা, যথাসময়ে আমাকে অনুমতি কোরো, আমি গাইব । নরেশ । তোমার ভক্তিতে আমি শ্ৰীত । ভালো, অনুমতি করছি, গাও তুমি । বিপাশা। সে কি প্ৰভু, এখনই ? এখনো তো সময় হয় নি। নরেশ । এতদিনেও আমার কাছে। এ শিক্ষা হল না যে, গানের অসময় নেই ? ১ । কবি অন্যায় বলেন নি। ঐ দেখো-না, লোক জড়ো হয়েছে। সময় হল । বিপাশা ৷ "IF দিনের পরে দিন-যে গোল আঁধার ঘরে, তোমার আসনখানি দেখে মন-যে কেমন করে । ওগো বঁধু, ফুলের সাজি মজরীতে ভরল আজি, ব্যথার হারে গাখব। তারে রাখব চরণ-’পরে । পায়ের ধ্বনিগনি গনি রাতের তারা জাগে । উত্তরায়ের হাওয়া এসে ফুলের বনে লাগে। ফাগুনবেলার বুকের মাঝে পথ-চাওয়া সুর কেঁদে বাজে, প্ৰাণের কথা ভাষা হারায় চোখের জলে করে । ১ । হায় হয়, খাটি কবি বটে। রে । ছেড়ে দেওয়া হবে না । দাদাশ্বশুরের আটচালার এক কোণে छोप्रो कg: 0ाद । ২। কবি, রচনা তোমারই বটে তো ? ভণিতা নেই কেন । আমাদের বংশীলাল খুব লম্বা করেই एख्नेिठा ब्ााग्न । নরেশ । ভণিতার সম্পর্ক রাখি নে । আমি জানি গান যে গায় গান তারই । গানটা আমার কি তোমার, এই অত্যন্ত বাজে প্রশ্ন যদি না ভুলিয়ে দিলে তা হলে সে গান গানই নয়। ৩ । কিন্তু দেখো কবি, আমার কেমন মনে হচ্ছে। এ গান আমি পূর্বে শুনেছি। এই কাশ্মীরেই। নরেশ । বড়ো খুশি হলুম। এ কথা শুনে । তুমি রসিক লোক । ভালো গান শুনলেই মনে হয় এ গান আগেই শুনেছি । ৩ । মনে হচ্ছে আমাদের কবি শশাঙ্ক যেন ঐরকমের একটা নরেশ । কিছুই অসম্ভব নয়, কোনো কোনো কবি থাকেন। যার রচনা ঠিক অন্য লোকের রচনার মতোই হয় । ৩ । কবি, ইচ্ছে করছে তোমাকে একটা মালা দিই । নরেশ । মালা আমি নিই নে। আমার গান ধার কঠে, আমার মালাও তারই কণ্ঠে পড়ে । ৪ । সে তো ভালো কথা । উনি মালা পরার যোগ্য বটেন । ই গা, তোমাদের ডালিতে তো মালা অনেক আছে, একখানা দাও-না। ওঁকে পরিয়ে দিই। প্ৰথমা । ইয়া, দিলাম বলে ! ৪ । ভালোমানুষের বি, দিলে দোষ কী । দ্বিতীয়া । তোমরা দোষ দেখতে পাবে কেন ? পথে ঘাটে মালা পরিয়ে বেড়ানো তোমাদের স্বভাব Gr, ० । भनि, ब्रार्श कन्न कम ? দ্বিতীয়া । আর ‘মাসি ‘মাসি’ করতে হবে না ।