পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাপমোচন ROD চৈত্রসংক্রান্তির রাতে আবার মিলন । মহিষী বললে, “দেখলেম নাচ । যেন মজরিত শালতারুশ্রেণীতে বসন্তবাতাসের অধৈৰ্য । যেন চন্দ্ৰলোকের শুক্লপক্ষে লেগেছে তুফান । কেবল একজন কুগ্ৰী কেন রসভঙ্গ করলে । ও যেন রাহুর অনুচর। কী গুণে ও পেল প্রবেশের অধিকার ।” রাজা স্তন্ধ হয়ে রইল। তার পরে উঠল গেয়ে, “অসুন্দরের পরম বেদনায় সুন্দরের আহবান । সূর্যরশ্মি কালো মেঘের ললাটে পরায় ইন্দ্ৰধনু, তার লজ্জাকে সাত্মনা দেবার তরে। মর্তের অভিশাপে স্বর্গের করুণা যখন নামে তখনি তো সুন্দরের আবির্ভাব । প্ৰিয়তম, সেই করুণাই কি তোমার হৃদয়কে কাল মধুর করে নি।” “না মহারাজ, না” বলে মহিষী দুই হাতে মুখ ঢাকলে । রাজার কণ্ঠের সুরে লাগল। অশ্রীর ছোওয়া । বললে, “যাকে দয়া করলে যেত তোমার হৃদয় ভরে, তাকে ঘৃণা করে কোন পাথর করলে মনকে ।” “রসবিকৃতির পীড়া সইতে পারি নে” বলে মহিষী উঠে পড়ল আসন থেকে । রাজা হাত ধরে বললে, “একদিন সইতে পারবে আপনারই আন্তরিক রসের দক্ষিণ্যে। কুগ্ৰীীর আত্মত্যাগে সুন্দরের সার্থকতা ।” ভুকুটিল করে মহিষী বললে, “অসুন্দরের জন্যে তোমার এই অনুকম্পার অর্থ বুঝি নে। ঐ শোনো, উষার প্রথম কোকিলের ডাক । অন্ধকারের মধ্যে তার আলোকের অনুভূতি । আজি সূর্যোদায়মুহুর্তে তোমারও প্রকাশ হোক আমার দিনের মধ্যে, এই আশায় রইলেম ।” রাজা গাইলেন বাহিরে ভুল ভাঙবে যখন অন্তরে ভুল ভাঙবে কি । বিষাদ বিষে জ্বলে শেষে রসের প্রসাদ মাঙবে কি । রৌদ্রদাহ হলে সারা নামবে কি ওর বীর্যধারা, লাজের রাতা মিটলে হৃদয় (2CNRSCS 3ïstofo, যতই যাবে দূরের পানে ধাধন ততই কঠিন হয়ে টানবে না কি ব্যথার টানে । অভিমানের কালো মেঘে বাদল হাওয়া লাগবে বেগে, নয়নজলের আবেগ তখন কোনোই বাধা মানবে কি ৷ মহিষী স্তন্ধ হয়ে রইল। রাজা বললে, “আচ্ছা, কথা তোমার রাখব, কিন্তু তাতে ইচ্ছা তোমার পূর্ণ হবে না ।” জ্বলে উঠল আলো, আবরণ গেল ঘুচে, দেখা হল । টলে উঠল যুগলের সংসার। “কী অন্যায়, কী নিষ্ঠুর বঞ্চন” বলতে বলতে কমালিকা ঘর থেকে ছুটে পালিয়ে গেল। তাকে ডাক দিলে রাজার জগৎ (RGS R, GRIG, GR RGR I মিলনপিয়সি মোরা, কথা রাখো । আজও বকুল আপনহারা, হায় রে, ফুল ফোটানো হয়নি। সারা, সাজি ভরেনি, *ಇ পথিক ওগো, থাকো থাকো । গেল বহুদূরে, বনের মধ্যে মৃগয়ার জন্যে যে নির্জন রাজগৃহ আছে সেইখানে। কুয়াশায় শুকতারার NON MUI G Vau |