পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Pla R8 è ও কি এলি, ও কি এল না, বোঝা গেল না । ও কি মায়া কি স্বপনছয়া, ও কি হালনা । ধয়া কি পড়ে ও রূপেরই ডোরে, গানেরই তানে কি বধিবে ওয়ে, ও যে চিরবিরহেরই সাধনা । ওর বাঁশিতে করুশ কী সুর লাগে বিরহমিলনমিলিত রাগে । CN R C es oest al-YMesir, হৃদয়বনে ও উদাসী হওয়া, বুঝি শুধু ও পরমকামনা ৷ মহিষীর সমস্ত দেহ কম্পিত । ঝিল্লিক্সাংকৃত রাত । কৃষ্ণপক্ষের চাদ দিগন্তে । অস্পষ্ট আলোয় অরণ্য কথা কয় যেন স্বপ্নে । বোবা বনের ভাষাহীন বাণী লাগল মহিষীর অঙ্গে অঙ্গে । কখন নাচ আরম্ভ হল সে জানে না । এ নাচ কোন জন্মান্তরের, কোন লোকান্তরের । বীণায় বাজে পরিজের বিহবল মীড় । কমালিকা আপন-মনে বলে, ’ওগো কাতর, ওগো হতাশ, আর ডেকো না । আর দেরি নেই, দেরি নেই।” কৃষ্ণপক্ষের চাদ ডুবেছে অমাবস্যার তলায় । আঁধারের ডাক গভীর। রাজমহিষী উঠে দাঁড়িয়ে বলে, “যাব আজ । আর ভয় করি নে আমার দৃষ্টিকে ৷” পথের শুকনো পাতা পায়ে পায়ে বাজিয়ে দিয়ে গেল সে অশথতলায়- সেখানে বীণা বাজছে । মোর বীণা ওঠে কোন সুরে বাজি কোন নব চঞ্চল ছন্দে । মম অন্তর কম্পিত আজি নিখিলের হৃদয়স্পন্দে । আসে কোন তরুণ অশান্ত, উড়ে পীতবসনাপ্ৰান্ত, আলোকের নৃত্যে বানান্ত মুখরিত অধীর আনন্দে । WR:Searsal: fR;*3 novets ! অশ্রাত সেই তালে বাজে করতালি পল্লবপুঞ্জে । কার পদ পােরশন-আশা। তুণে তৃণে অৰ্পিল ভাষা, সমীরণ বন্ধনহারা উন্মান কোন বনগন্ধে ৷ বীণা থামল । মহিষী। থমকে দাঁড়াল। রাজা বললে, “ভয় কোরো না, প্রিয়ে, ভয় কোরো না ।” গলার স্বর জলে-ভরা মেঘের দূর দুরুদুরু ধ্বনির মতো । “কিছু ভক্ত নেই আমার, জয় হল তোমারই।”