পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রজাপতির নির্বন্ধ &ፃ¢ কাজের যোগ্য নই তা হলে আমি বিদায় হব, কিন্তু এরা আমাকে কী জানেন ? এরা কেন আমাকে তোমার অনুষ্ঠান থেকে বিচ্ছিন্ন করবার জন্তে সকলে মিলে তর্ক করছেন ? ঐশ তখন বিনীত মৃদ্ধস্বরে কহিল, “মাপ করবেন, আমি আপনার সম্বন্ধে কোনো তর্ক করি নি, আমি সাধারণত খ্ৰীজাতি সম্বন্ধে বলছিলুম—” নির্মলা । আমি স্ত্রীজাতি-পুরুষজাতির প্রভেদ নিয়ে কোনো বিচার করতে চাই নে— আমি নিজের অন্ত:করণ জানি এবং ধার উন্নত দৃষ্টান্তকে আশ্রয় করে রয়েছি তার অন্তঃকরণ জানি, কাজে প্রবৃত্ত হতে এর বেশি আমার আর কিছু জানবার দরকার নেই। চন্দ্রবাৰু নিজের দক্ষিণ করতল চোখের অত্যন্ত কাছে লইয়া নিরীক্ষণ করিয়া দেখিতে লাগিলেন। পূর্ণ খুব চমৎকার করিয়া একটা কিছু বলিবার ইচ্ছা করিল, কিন্তু তাহার মুখ দিয়া কোনো কথাই বাহির হইল না। নির্মলা দ্বারের অন্তরালে থাকিলে পূর্ণর বাকৃশক্তি ষেরূপ সতেজ থাকে আজ তাহার তেমন পরিচয় পাওয়া গেল না . তৰু সে মনে মনে অনেক আবৃত্তি করিয়া বলিল, “দেবী, এই পন্ধিল পৃথিবীর কাজে কেন আপনার পবিত্র দুইখানি হস্ত প্রয়োগ করতে চাচ্ছেন ?” কথাটা মনে যেমন লাগিতেছিল মুখে তেমন শোনাইল না— পূর্ণ বলিয়াই বুঝিতে পারিল কথাটা গদ্যের মধ্যে হঠাৎ পম্ভের মতো কিছু যেন বাড়াবাড়ি হইয়া পড়িল । লজায় তাহার কান লাল হইয়া উঠিল। বিপিন স্বাভাবিক স্বগভীর শাস্তম্বরে কহিল, “পৃথিবী যত বেশি পৰিল পৃথিবীর সংশোধন-কীর্ষ তত বেশি পবিত্র।” এই কথাটায় কৃতজ্ঞ নির্মলার মুখের ভাব লক্ষ্য করিয়া পূর্ণ ভাবিল, ‘আহা, কথাটা আমারই বলা উচিত ছিল। বিপিন বলিয়াছে বলিয়া তাহার উপর অত্যন্ত রাগ হইল। ঐশ । সভার অধিবেশনে স্ত্রীসভ্য লওয়া সম্বন্ধে নিয়মমত প্রস্তাব উত্থাপন করে ষা हिग्न इम्न खोक्रमiएक छोबोरु । নির্মলা এক মুহূর্ত অপেক্ষ না করিয়া পালের নৌকার মতো নিঃশব্দে চলিয়া যাইবার উপক্রম করিল। হঠাৎ অধ্যাপক সচেতন হইয়া ভাকিলেন, “ফেনি, জামার সেই গলার বোতামটা ?” 事 নির্মল সলজ হালির স্বম্বকণ্ঠে ইশারা করিয়া কহিল, “গলাতেই আছে।" চজবাৰু গলায় হাত দিয়া “ই ই আছে বটে” বলির ডিন ছাত্রের দিকে চাহিয়া হালিলেন ।