৩২ ৯ ফাঙ্কন, সন্ধ্যা, ১৩০০ রবীন্দ্র-রচনাবলী যেন মনে পড়ে সেই বাল্যনীহারিকা ; তার পরে প্রজলন্ত যৌবনের শিখা ; তার পরে স্নিগ্ধশ্বাম অন্নপূর্ণালয়ে জীবধাত্রী জননীর কাজ বক্ষে লয়ে লক্ষ কোটি জীব – কত দুঃখ, কত ক্লেশ, কত যুদ্ধ, কত মৃত্যু, নাহি তার শেষ। ক্রমে ঘনতর হয়ে নামে অন্ধকার, গাঢ়তর নীরবতা— বিশ্বপরিবার সুপ্ত নিশ্চেতন। নিঃসঙ্গিনী ধরণীর বিশাল অন্তর হতে উঠে সুগম্ভীর একটি ব্যথিত প্রশ্ন, ক্লিষ্ট ক্লান্ত স্বর, শূন্যপানে— “আরো কোথা ? আরো কত দূর ” এবার ফিরাও মোরে সংসারে সবাই যবে সারাক্ষ৭ শত কর্মে রত, তুই শুধু ছিন্নবাধা পলাতক বালকের মতো মধ্যাহ্নে মাঠের মাঝে একাকী বিষন্ন তরুচ্ছায়ে দূরবনগন্ধবহ মন্দগতি ক্লাস্ত তপ্তবায়ে সারাদিন বাজাইলি বাশি। ওরে তুই ওঠ, আজি। আগুন লেগেছে কোথা ? কায় শঙ্খ উঠিয়াছে বাজি জাগাতে জগৎ-জনে ? কোথা হতে ধ্বনিছে ক্ৰন্দনে শূন্ততল ? কোন অন্ধকারামাঝে জর্জর বন্ধনে অনাথিনী মাগিছে সহায় ? ফীতকায় অপমান অক্ষমের বক্ষ হতে রক্ত শুষি করিতেছে পান लक्र মুখ দিয়া ; বেদনারে করিতেছে পরিহাস
পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৬
অবয়ব