পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কল্পনা শুনে ‘ছিছি' বলে শাখা নাড়ি নাড়ি শিহরি উঠিল। লতা, ভাবিল মুখর এখনি না জানি আরো কী রটাবে কথা ! ভ্রমর কহিল যুথীর সভায়, যে ছিল বোবার মতো পরের কুৎসা রটাবার বেলা তারো মুখ ফোটে কত ! শুনিয়া তখনি করতালি দিয়ে হেসে উঠে নরনারী যে যাহারে চায় ধরিয়া তাহায় দাড়াইল সারি সারি। “হয়েছে প্ৰমাণ’ ‘হয়েছে প্ৰমাণ হাসিয়া সবাই কহে* যে কথা রটেছে একটি বর্ণ বানানো কাহারও নহে ।” বাহুতে বাহুতে বাধিয়া কহিল নয়নে নয়নে চাহি, ‘আকাশে পাতালে মরতে আজি তো গোপন কিছুই নাহি ।” কহিল হাসিয়া মালা হাতে লয়ে পাশাপাশি কাছাকাছি, ‘ত্ৰিভুবন যদি ধরা পড়ি গেল তুমি আমি কোথা আছি!” হায় কবি হায়, সে হতে প্রকৃতি হয়ে গেছে সাবধানী— মাথাটি ঘেরিয়া বুকের উপরে আঁচল দিয়েছে টানি । ” যত ছলে আজ যত ঘুরে মরি জগতের পিছু পিছু কোনোদিন কোনো গোপন খবর নূতন মেলে না কিছু। শুধু গুঞ্জনে কৃজনে গন্ধে সন্দেহ হয় মনে লুকানো কথার হাওয়া বহে যেন বন হতে উপবনে ; মনে হয় যেন আলোতে ছায়াতে রয়েছে কী ভাব ভরাহায় কবি, হায়, হাতে হাতে আর কিছুই পড়ে না ধরা । Ꭹ Ꮤl O 8 ऎझङिळ्नन्फ० S ওগো পুরবাসী, আমি পরবাসী জগৎব্যাপারে অজ্ঞ, , শুধাই তোমায় এ পুরশালায় আজি এ কিসের যজ্ঞ ? সিংহদুয়ারে পথের দু ধারে । রথের না দেখি অন্তকার সম্মানে ভিড়েছে এখানে । যত উষ্ণীষবন্ত ? বসেছেন ধীর অতি গভীর দেশের প্রবীণ বিজ্ঞ, প্ৰবেশিয়া ঘরে সংকোচে ডরে মরি। আমি অনভিজ্ঞ । S 8vo)