পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Yoፃ e রবীন্দ্র-রচনাবলী বৎসে, ষে সম্বন্ধ মুক্তির দিকে নিয়ে চলে তাকেই শ্রদ্ধা করি। যা বেঁধে রাখে পশুর মতো প্রকৃতির-গড়া প্রবৃত্তির বন্ধনে বা মানুষের-গড়া দাসত্বের শৃঙ্খলে ধিক তাকে। পুরুষ কর্ম করে, স্ত্রী শক্তি দেয়। যুক্তির রথ কর্ম, মুক্তির বাহন শক্তি স্বযম, ধনে তোমার লোভ নেই, তাই ধনে তোমার অধিকার। তুমি সন্ন্যাসীর শিষ্য, তাই রাজার গৃহিণীপদে তোমার পূর্ণতা। ( ডান হাতে সোমশংকরের ডান হাত ধরে ) তস্মাৎ ত্বমুত্তিষ্ঠ যশোলভস্ব জিত্ব শত্রন ভুর্ভূক্ষ, রাজ্যং সমৃদ্ধম্। ওঠে, তুমি যশোলাভ করে। শত্রদের জয় করে— যে রাজ্য অসীম সমৃদ্ধিবান তাকে ভোগ করে। বৎস, আমার সঙ্গে আবৃত্তি করো প্ৰণামের মন্ত্র। নমঃ পুরস্তাদ অর্থ পৃষ্ঠতস্তে নমোস্তুতে সর্বত এব সর্ব । অনন্তবীর্যামিতবিক্রমসত্বং সৰ্বং সমাপ্লোষি ততোহসি সর্বঃ ॥ তোমাকে নমস্কার সম্মুখ থেকে, তোমাকে নমস্কার পশ্চাৎ থেকে, হে সর্ব, তোমাকে নমস্কার সর্ব দিক থেকে । অনন্তবীর্ষ তুমি, অমিতবিক্রম তুমি, তোমাতেই সর্ব, তুমিই সর্ব ! ক্ষণকালের জন্য যবনিক পড়ে তখনই উঠে গেল। তখন রাত্রি, আকাশে তারা দেখা যায়। সুষম ও তার বন্ধু নন্দ । সুষমা। এইবার সেই গানটা গা দেখি ভাই । গান নন্দ । ন চাহিলে যারে পাওয়া যায়, তেয়াগিলে আসে হাতে, দিবসে সে-ধন হারায়েছি আমি পেয়েছি আঁধার রাতে । না দেখিবে তারে পরশিবে না গো, তারি পানে প্রাণ মেলে দিয়ে জাগো, । তারায় তারায় রবে তারি বাণী, কুসুমে ফুটিবে প্রাতে ॥