পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8×8 রবীন্দ্র-রচনাবলী নিৰ্বাসনেও টিকিতে দিল না । মহেঞ্জ গ্রামে আসিয়া, আমার ঘরের দ্বারে আসিয়া, আমাকে সকলের সম্মুখে লাঞ্ছিত করিল। সে-গ্রামে আর আমার স্থান इहेल नां । দ্বিতীয় বার তোমার আদেশের জন্য তোমাকে অনেক খুজিলাম, কোনোমতেই তোমাকে পাইলাম না, মহেন্দ্র আমার খোলা চিঠি তোমার ঘর হইতে ফিরাইয়া লইয়া আমাকে প্রতারণা করিল। বুঝিলাম, তুমি আমাকে একেবারে পরিত্যাগ করিয়াছ। ইহার পরে আমি একেবারেই নষ্ট হইতে পারিতাম— কিন্তু তোমার কী গুণ আছে, তুমি দূরে থাকিয়াও রক্ষা করিতে পার— তোমাকে মনে স্থান দিয়াছি বলিয়াই আমি পবিত্র হইয়াছি— একদিন তুমি আমাকে দূর করিয়া দিয়া নিজের ষে পরিচয় দিয়াছ, তোমার সেই কঠিন পরিচয়, কঠিন সোনার মতো, কঠিন মানিকের মতো আমার মনের মধ্যে রহিয়াছে, আমাকে মহামূল্য করিয়াছে। দেব, এই তোমার চরণ ছুইয়া বলিতেছি, সে-মূল্য নষ্ট হয় নাই ।” বিহারী চুপ করিয়া বসিয়া রহিল। বিনোদিনীও আর কোনো কথা কহিল না। অপরাঙ্কুের আলোক প্রতিক্ষণে মান হইয়| আসিতে লাগিল । এমন সময় মহেন্দ্র ঘরের দ্বারের কাছে আসিয়া বিহারীকে দেখিয়া চমকিয়া উঠিল । বিনোদিনীর প্রতি তাহার যে একটা ঔদাসীন্য জন্মিতেছিল, ঈর্ষার তাড়নায় তাহা দূর হইবার উপক্রম হইল । বিনোদিনী বিহারীর পায়ের কাছে স্তব্ধ হইয়া বসিয়া আছে দেখিয়া, প্রত্যাখ্যাত মহেঞ্জের গর্বে আঘাত লাগিল। বিনোদিনীর সহিত বিহারীর চিঠিপত্র দ্বারা এই মিলন ঘটিয়াছে, ইহাতে তাহার আর সন্দেহ রহিল না। এতদিন বিহারী বিমুখ হইয়াছিল, এখন সে যদি নিজে আসিয়া ধরা দেয়, তবে বিনোদিনীকে ঠেকাইবে কে । মহেন্দ্র বিনোদিনীকে ত্যাগ করিতে পারে, কিন্তু আর-কাহারও হাতে ত্যাগ করিতে পারে না, তাহ আজ বিহারীকে দেখিয়া বুঝিতে পারিল । ங் , ব্যর্থরোধে তীব্র বিক্রপের স্বরে মহেন্দ্র বিনোদিনীকে কহিল, “এখন তবে রঙ্গভূমিতে মহেঞ্জের প্রস্থান, বিহারীর প্রবেশ । দৃশুটি স্বন্দর— হাততালি দিতে ইচ্ছা হইতেছে । কিন্তু আশা করি, এই শেষ অঙ্ক, ইহার পরে আর কিছুই ভালো লাগিবে না।" . . o बिटनांनिनैौद्र भूथ ब्रख्भि इहेब्रा खेटैिल । भट्झरवव्र श्रांथग्न जहे८ड वथन তাহাকে বাধ্য হইতে হইয়াছে, তখন এ-অপমানের উত্তর তাহার আর কিছুই নাই— ব্যাকুলদৃষ্টিতে সে কেবল একবার বিহারীর মুখের দিকে চাহিল। . বিহারী খাট হইতে উঠিল— অগ্রসর হইয়া কহিল, “মহেন্দ্র, তুমি বিনোদিনীকে কাপুরুষের মতো অপমান করিয়ো না— তোমার ভদ্রতা যদি তোমাকে নিষেধ না করে, তোমাকে নিষেধ করিবার অধিকার আমার আছে।”