পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఆలీty রবীন্দ্র-রচনাবলী সোনার তরী কবিতার কল্পনা-কাল শ্রাবণ ও রচনা-কাল ফাত্তন, এ-সম্বন্ধে চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের প্রশ্নের উত্তরে-রবীন্দ্রনাথ লেখেন : তুমি পঞ্জিকা মিলিয়ে যদি কবিতার তাৎপর্ব নির্ণয় করতে চাও তো বিপন্ন হবে । বুধবারের পর বৃহস্পতিবার আসে অত্যন্ত সাধারণ নিয়মে । সেটাকে অবজ্ঞা কোরো। জামাদের জীবনে স্থতরাং সাহিত্যেও হয়তো কোনো-একটা বিশেষ বুধ বা বৃহস্পতিবার সপ্তাহ ডিঙিয়ে চব্বিশ ঘণ্টাকে উপেক্ষা করেই আসন রক্ষা করে। যেদিন বর্ষার অপরাঙ্কুে খরস্রোত পদ্মার উপর দিয়ে কাচ ধানে ডিঙিনৌকা বোঝাই করে মগ্নপ্রায় চর থেকে চাষীরা এপারে চলে আসছে সে দিনটা সন তারিখ মাস পার হয়ে আজো আমার মনে আছে। সেই দিনেই সোনার তরী কাব্যের সঞ্চার হয়েছিল মনে, তার প্রকাশ হয়েছিল কবে তা অামার মনেও নেই । এইরকম অবস্থায় ইতিহাসের ভুল হবারই কথা । কারণ, আমার মনে সোনার তরীর ষে ইতিহাসটা সত্য হয়ে আছে সেটা হচ্ছে সেই শ্রাবণ-দিনের ইতিহাস, সেটা কোন তারিখে লিখিত হয়েছিল সেইটেই আকস্মিক— সেদিনটা বিশেষ দিন নয়, সে দিনটা আমার স্মৃতিপটে কোনো চিহ্ন দিয়েই যায়নি। অতএব আমার ইতিহাসে আর তোমাদের ইতিহাসে এইখানে বাদপ্রতিবাদ হবেই, দুর্ভাগ্যক্রমে তোমাদের হাতে দলিল আছে, আমার হাতে নেই । আদালতে তোমাদেরই জিৎ রইল। আমার দলিলের তারিখ কবিতার অভ্যন্তরেই আছে,— “শ্রাবণ-গগন ঘিরে ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে ।” তুমি বলবে ওটা কাল্পনিক, আমি বলব তোমাদের তারিখটা রিয়ালিক্টিক । ‘শাস্তিনিকেতন সপ্তম খণ্ডে মুঞ্জিত ‘তরী বোঝাই’ শীর্ষক উপদেশ-ভাষণে ( ৪ চৈত্র, ১৩১৫ ) রবীন্দ্রনাথ সোনার তরী কবিতার মর্মব্যাখ্যা করিয়াছেন ঃ সোনার তরী বলে একটা কবিতা লিখেছিলুম, এই উপলক্ষ্যে তার একটা মানে বলা যেতে পারে । মাতুৰ সমস্ত জীবন ধরে ফসল চাষ করছে । তার জীবনের খেতটুকু দ্বীপের মতো— চারিদিকেই অব্যক্তের দ্বারা সে বেষ্টিত— ওই একটুখানি তার কাছে ব্যক্ত হয়ে আছে— সেইজন্ত গীতা বলেছেন— चवाङांशैनि छूठानि बाख् अशांनि छांब्रठ उबदारङ निषनांरबाव ठख की *ब्रिरचदम1 ।।