পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গুরু ১৩৫ মহাপঞ্চক। কেমন করে আবার কী । মত্ত হস্তীকে যেমন করে সংষত করতে হয় তেমনি করে । জয়োত্তম । আমাদের আচার্যদেবকে কি তা হলে— মহাপঞ্চক। ই, তাকে বন্ধ করে রাখতে হবে । চুপ করে রইলে ষে। পারবে না ? আচার্যের প্রবেশ আচার্য । বংস, এতদিন তোমরা আমাকে আচার্য বলে মেনেছ, আজ তোমাদের সামনে আমার বিচারের দিন এসেছে । আমি স্বীকার করছি অপরাধের অস্ত নেই, অস্ত নেই, তার প্রায়শ্চিত্ত আমাকেই করতে হবে। সঞ্জীব । তবে আর দেরি করেন কেন ? এদিকে যে আমাদের সর্বনাশ হয় । আচার্য। গুরু চলে গেলেন আমরা তার জায়গায় পুথি নিয়ে বসলুম ; সেই জীর্ণ পুথির ভাণ্ডারে প্রতিদিন তোমরা দলে দলে আমার কাছে তোমাদের তরুণ হৃদয়টি মেলে ধরে কী চাইতে এসেছিলে? অমৃতবাণী ? কিন্তু আমার তালু যে শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। রসনায় যে রসের লেশমাত্র নেই। এবার নিয়ে এস সেই বাণী, গুরু, নিয়ে এস হৃদয়ের বাণী। প্রাণকে প্রাণ দিয়ে জাগিয়ে দিয়ে যাও । পঞ্চক । ( ছুটয় প্রবেশ করিয়া ) তোমার নববর্ষার সজল হাওয়ায় উড়ে যাক সব শুকনো পাতা—আয় রে নবীন কিশলয়—তোরা ছুটে আয়, তোরা ফুটে বেরো। ভাই জয়োত্তম, গুনছ না, আকাশের ঘননীল মেঘের মধ্যে মুক্তির ডাক উঠেছে—আজ নৃত্য কর রে নৃত্য কর । গান ওরে ওরে ওরে আমার মন মেতেছে তারে আজ থামায় কে রে । সে যে আকাশ পানে হাত পেতেছে তারে আজ নামায় কে রে । প্রথমে জয়োত্তমের, পরে বিশ্বস্তুরের, পরে সঞ্জীবের নৃত্যগীতে যোগ মহাপঞ্চক। পঞ্চক, নির্লজ্জ বানর কোথাকার, থাম বলছি থাম । পঞ্চক | *ांन ওরে আমার মন মেতেছে । আমারে খামায় কে রে ।