পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অরiপ রতন >>') পাইকগুলোর পাগড়ি রাঙা, তার উপরে খোলা তলোয়ারের যে রকম ভঙ্গি দেখলুম একটু কাছে ঘেঁষলেই একেবারে চরম রাঙা রাঙিয়ে দিত । ঠাকুরদা। বেশ করেছিস ঘেঁষিস নি। পৃথিবীতে ওদের নির্বাসনদ গু—ওদের তফাতে রেখে চলতেই হবে । Q বাউলের প্রবেশ ও গান যা ছিল কালো ধলো তোমার রঙে রঙে রাঙা হল । இ যেমন রাঙাবরণ তোমার চরণ তার সনে আর ভেদ না র’ল ৷ রাঙা হল বসন ভূষণ, রাঙা হল শয়ন স্বপন, `यत्र হল কেমন দেখ রে, যেমন রাঙা কমল টলমল ! / ঠাকুরদা। বেশ ভাই বেশ–খুব থেলা জমেছিল ? বাউল। খুব খুব । সব লালে লাল। কেবল আকাশের চাদটাই ফাকি দিয়েছে— সাদাই রয়ে গেল । ঠাকুরদা। বাইরে থেকে দেখাচ্ছে যেন বড়ো ভালোমানুষ । ওর সাদা চাদরটা খুলে দেখতিস যদি তাহলে ওর বিস্তে ধরা পড়ত। চুপি চুপি ও যে আজ কত রং ছড়িয়েছে এখানে দাড়িয়ে সব দেখেছি। অথচ ও নিজে কি এমনি সাদাই থেকে যাবে ?

গান

আহ! তোমার সঙ্গে প্রাণের খেল৷ প্রিয় আমার ওগো প্রিয়। বড়ে উতলা আজ পরান আমার খেলাতে হার মানবে কি ও ? কেবল তুমিই কি গো এমনি ভাবে রাঙিয়ে মোরে পালিয়ে যাবে ? তুমি সাধ করে নাথ ধরা দিয়ে আমারো রং বক্ষে নিয়ো— এই হৃংকমলের রাঙা রেণু, রাঙাবে ঐ উত্তরীয় । [ সকলের প্রস্থান