পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ᎼᎽb← রবীন্দ্র-রচনাবলী সুবর্ণ। পালিয়ে যদি গিয়ে থাকে, তাহলে তো বিপদ কেটে গেছে। এখন ক্ষান্ত হ’ন । 響 বিক্রম । কেন বলে তো ? সুবর্ণ। দুঃসাহসিকতা হচ্ছে । বিক্রম । তাই যদি না হবে, তবে কাজে প্রবৃত্ত হয়ে সুখ কী ? সুবর্ণ। কান্তিকরাজকে ভয় না করলেও চলে কিন্তু— বিক্রম । ওই কিন্তুটাকে ভয় করতে শুরু করলে জগতে টেকা দায় হয় । সুবর্ণ। মহারাজ, ওই কিন্তুটাকে না হয় মন থেকে উড়িয়ে দিলেন, কিন্তু ও যে বাইরে থেকেই হঠাৎ উড়ে এসে দেখা দেয়। ভেবে দেখুন না, বাগানে কী কাগুট হল। খুব করেই আটঘাট বেঁধেছিলেন, তার মধ্যে কোথা থেকে অগ্নিমূর্তি ধরে ঢুকে পড়ল একটা কিন্তু । বস্তুসেন ও বিজয়বর্মার প্রবেশ বসুসেন । অন্তঃপুর ঘুরে এলুম কোথাও তো তাকে পাওয়া গেল না । দৈবজ্ঞ যে বলেছিল, আমাদের যাত্রা শুভ, সেটা বুঝি মিথ্যা হল । বিজয় | পাওয়ার চেয়ে না পাওয়াতেই হয়তো শুভ, কে বলতে পারে ? বিক্রম। এ কী উদাসীনের মতো কথা বলছ । বসুসেন । এ কী । ভূমিকম্প না কি । বিক্রম । ভূমিই র্কাপছে বটে, কিন্তু তাই বলে পা কাপতে দেওয়া হবে না । বসুসেন । এটা দুলক্ষণ । বিক্রম। কোনো লক্ষণই দুলক্ষণ নয়, যদি সঙ্গে ভয় না থাকে । বসুসেন । দৃষ্ট কিছুকে ভয় করি নে কিন্তু অদৃষ্ট পুরুষের সঙ্গে লড়াই চলে না । বিক্রম । অদৃষ্ট দৃষ্ট হয়েই আসেন, তখন তার সঙ্গে খুবই লড়াই চলে। দূতের প্রবেশ দূত। মহারাজ । সৈন্যর প্রায় সকলে পালিয়েছে। বিক্রম । কেন ? দূত। তাদের মধ্যে অকারণে কেমন একটা আতঙ্ক ঢুকে গেল—কাউকে আর ঠেকিয়ে রাখা যাচ্ছে না । বিক্রম। আচ্ছ, তাদের ফিরিয়ে আনছি। যুদ্ধের পর হারা চলে কিন্তু যুদ্ধের আগে হার মানতে পারব না । [ বিক্রমবাহ ও দূতের প্রস্থান