পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९8९ , রবীন্দ্র-রচনাবলী ঠাকুরদাদা। রাজার উংপাতই ঘটুক আর অরাজকতাই হ'ক আমি প্রভুর চরণ ছাড়ছি নে । [ প্রস্থান লক্ষেশ্বরের প্রবেশ লক্ষেশ্বর। ঠাকুর তুমিই অপূর্বানন্দ ! তবে তো বড়ে অপরাধ হয়ে গেছে। আমাকে মাপ করতে হবে । সন্ন্যাসী । তুমি আমাকে ভণ্ডতপস্বী বলেছ এই যদি তোমার অপরাধ হয় আমি তোমাকে মাপ করলেম । লক্ষেশ্বর। বাবাঠাকুর শুধু মাপ করতে তো সকলেই পারে—সে ফকিতে আমার কী হবে । আমাকে একটা কিছু ভালো রকম বর দিতে হচ্ছে । যখন দেখা পেয়েছি তখন শুধুহাতে ফিরছি নে । সন্ন্যাসী । কী বর চাই । লক্ষেশ্বর। লোকে যতটা মনে করে ততটা নয়, তবে কি না আমার অল্পস্বল্প কিছু জমেছে—সে অতি যংসামান্ত—তাতে আমার মনের আকাজক্ষা তো মিটছে না । শরংকাল এসেছে, আর ঘরে বসে থাকতে পারছি নে—এখন বাণিজ্যে বেরোতে হবে । কোথায় গেলে সুবিধা হতে পারে আমাকে সেই সন্ধানটি বলে দিতে হবে—আমাকে আর যেন ঘুরে বেড়াতে না হয় । সন্ন্যাসী । আমিও সেই সন্ধানেই আছি আর যেন ঘুরতে না হয় । লক্ষেশ্বর। বল কী ঠাকুর। সন্ন্যাসী । আমি সত্যই বলছি । লক্ষেশ্বর। ও; তবে সেই কথাটাই ললে । বাবা, তোমরা আমাদের চেয়েও সেয়ান । সন্ন্যাসী । তার সন্দেহ আছে ! লক্ষেশ্বর। (কাছে ঘেঁৰিয়া বসিয়া মৃদুস্বরে ) সন্ধান কিছু পেয়েছ ? সন্ন্যাসী। কিছু পেয়েছি বই কি । নইলে এমন করে ঘুরে বেড়াব কেন ? লক্ষেশ্বর । (সন্ন্যাসীর পা চাপিয়া ধরিয়া ) বাবাঠাকুর আর একটু খোলস করে বলে । তোমার পা ছয়ে বলছি আমিও তোমাকে একেবারে ফাকি দেব না। কী খুজিছ বলে তো, আমি কাউকে বলব না । সন্ন্যাসী। তবে শোনো। লক্ষ্মী যে সোনার পদ্মটির উপরে পা দুখানি রাখেন আমি সেই পদ্মটির খোজে আছি। T লক্ষেশ্বর। ও বাবা, সে তো কম কথা নয়। তাহলে যে একেবারে সকল ল্যাঠাই