পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঋণশোধ ૨8૭ চোকে। ঠাকুর, ভেবে ভেবে এ তে তুমি আচ্ছা বুদ্ধি ঠাওরেছ। কোনোগতিকে পদ্মটি যদি জোগাড় করে আন তাহলে লক্ষ্মীকে আর তোমার খুজতে হবে না, লক্ষ্মীই তোমাকে খুজে বেড়াবেন ; এ নইলে আমাদের চঞ্চল ঠাকরুনটকে তো জৰী করবার জো নেই। তোমার কাছে তার প দ্বধানিই বাঁধা থাকবে। তা তুমি সন্ন্যাসী মাহব, একলা পেরে উঠবে ? এতে তো খরচপত্র আছে । এক কাজ করো না বাবা, আমরা ভাগে ব্যবসা করি । Y. সন্ন্যাসী। তাহলে তোমাকে যে সন্ন্যাসী হতে হবে। বহুকাল সোনা ছুতেই পাবে না । লক্ষেশ্বর । সে যে শক্ত কথা । সন্ন্যাসী । সব ব্যবসা যদি ছাড়তে পার তবেই এ ব্যবসা চলবে । লক্ষেশ্বর । শেষকালে দুকুল যাবে না তো ? যদি একেবারে ফাকিতে না পড়ি তাহলে তোমার তল্পি বয়ে তোমার পিছন পিছন চলতে রাজি আছি। সত্যি বলছি ঠাকুর, কারও কথায় বড়ে সহজে বিশ্বাস করি নে—কিন্তু তোমার কথাটা কেমন মনে লাগছে । আচ্ছ। আচ্ছা রাজি। তোমার চেলাই হব । ওই রে রাজা আসছে। আমি তবে একটু আড়ালে দাড়াই গে । বন্দিগণের গান রাজরাজেন্দ্র জয় জয়তু জয় হে । ব্যাপ্ত পরতাপ তব বিশ্বময় হে। দুষ্টদলদলন তব দও ভয়কারী, শক্ৰজনদর্পহর দীপ্ত তরবারি, সংকট শরণ্য তুমি দৈন্যদুখহারী, মুক্ত অবরোধ তব অত্যুদয় হে ॥ রাজা সোমপালের প্রবেশ সোমপাল। প্রণাম হই ঠাকুর । সন্ন্যাসী । জয় হ’ক, কী বাসনা তোমার । লোমপাল । সে-কথা নিশ্চয় তোমার অগোচর নেই। আমি অখণ্ড রাজ্যের অধীশ্বর হতে চাই প্রভু। o সন্ন্যাসী । তাহলে গোড়া থেকে শুরু করে । তোমার খণ্ডরাজ্যটি ছেড়ে দাও।