পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭રીઝ রবীন্দ্র-রচনাবলী

  • কখনোই না ।” “কী করে বলব ষে-মানুষটা এসেছিল আজ, এই হুকুম নিয়েই সে আসে নি ?

হকুমের জোর কত সে তো জান তুমি।” এলা চমকে উঠে বললে, “সত্যি বলছ অন্তু, সত্যি ?” “একটা খবর পেয়েছি আমরা ।” “কী খবর p" “আজ ভোররাত্রে পুলিস আসবে তোমাকে ধরতে।” “নিশ্চিত জানতুম একদিন পুলিস আমাকে ধরতে আসছে।” “কেমন করে জানলে ?” . “কাল বটুর চিঠি পেয়েছি, সে খবর দিয়েছে পুলিস আমাকে ধরবে, লিখেছে—সে এখনও আমাকে বাচাতে পারে ।” | “কী উপায়ে ?” “বলছে, যদি আমি তাকে বিয়ে করি তাহলে সে আমার জামিন হয়ে আমার দায় গ্রহণ করবে ।” অন্ধকার হয়ে উঠল অতীনের মুখ, জিজ্ঞাসা করলে, “কী জবাব দিলে তুমি ?” এলা বললে, “আমি সেই চিঠির উপরে কেবল লিখে দিলুম, পিশাচ । আর-কিছু नग्न !” * , “খবর পেয়েছি, সেই বটুই আসবে কাল পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে । তোমার সম্মতি পেলেই বাঘের রঙ্গে রফ করে তোমাকে কুমিরের গর্তে আশ্রয় দেবার হিতব্ৰতে সে উঠে পড়ে লাগবে । তার হৃদয় কোমল।” এলা অতীনের পা জড়িয়ে ধরে বললে, “মারো আমাকে অস্তু, নিজের হাতে। তার চেয়ে সৌভাগ্য আমার কিছু হতে পারে না ।” মেঝের থেকে উঠে দাড়িয়ে অতীনকে বার বার চুমে বেয়ে পেয়ে বললে, “মারো এইবার মারো ।” ছিড়ে ফেললে বুকুর खट्रांभां । অতীন পাথরের মূর্তির মতে কঠিন হয়ে দাড়িয়ে রইল । এলা বললে, “একটুও ভেবো না অন্ত । আমি যে তোমার, সম্পূর্ণ ই তোমার— মরণেও তোমার। নাও আমাকে । নোংরা হাত লাগতে দিয়ে না আমার গায়ে, আমার এ দেহ তোমার ।” 鬱 অতীন কঠিন স্বরে বললে, “বাও এখনই গুতে যাও, হুকুম করছি গুতে বাও ।” অতীনকে বুকে চেপে ধরে এলা বলতে লাগল।–“অঙ্ক, অন্তু আমার, আমার রাজা,