পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধর্ম \రిసెఏ নির্লজ্জ কৃপণতা । আড়ম্বর দিনে দিনে যতই বাড়িতেছে, ততই এই দীপালোকে এই গৃহসজ্জায় এই রসলেশশূন্ত কৃত্রিমতার মধ্যে সেই শাস্তমঙ্গলস্বরূপের প্রশাস্ত-প্রসন্নমুখচ্ছবি আমাদের মদান্ধ দৃষ্টিপথ হইতে আচ্ছন্ন হইয়া যাইতেছে। এখন আমরা কেবল আপনাকেই দেখিতেছি, আপনার স্বর্ণরৌপ্যের চাকচিক্য দেখাইতেছি, আপনার নাম শুনিতেছি ও গুনাইতেছি । হে ঈশ্বর, তুমি আজ আমাদিগকে আহবান করে । বৃহৎ মকুন্তত্বের মধ্যে আহবান করে । আজ উৎসবের দিন শুদ্ধমাত্র ভাবরসসম্ভোগের দিন নহে, শুদ্ধমাত্র মাধুর্ষের মধ্যে নিমগ্ন হইবার দিন নহে—আজ বৃহৎ সম্মিলনের মধ্যে শক্তি-উপলব্ধির দিন, শক্তিসংগ্রহের দিন। আজ তুমি আমাদিগকে বিচ্ছিন্ন জীবনের প্রাত্যহিক জড়ত্ব প্রাত্যহিক ঔদাসীন্য হইতে উদ্বোধিত করে প্রতিদিনের নিবাঁধ নিশ্চেষ্টতা হইতে আরামআবেশ হইতে উদ্ধার করে । যে কঠোরতায় যে উদ্যমে যে আত্মবিসর্জনে আমাদের সার্থকতা, তাহার মধ্যে আজ আমাদিগকে প্রতিষ্ঠিত করে । আমরা এতগুলি মানুষ একত্র হইয়াছি। আজ যদি, যুগে যুগে তোমার মনুষ্যসমাজের মধ্যে যে সত্যের গৌরব যে প্রেমের গৌরব যে মঙ্গলের গৌরব যে কঠিনবীর্ষ নির্ভীক মহত্ত্বের গৌরব উদ্ভাসিত হইয়৷ উঠিয়াছে, তাহা না দেখিতে পাই, দেখি কেবল ক্ষুদ্র দ্বীপের আলোক, তুচ্ছ ধনের আড়ম্বর, তবে সমস্তই ব্যর্থ হইয়া গেল—যুগে যুগে মহাপুরুষের কণ্ঠ হইতে যে-সকল অভয়বাণী-অমৃতবাণী উৎসারিত হইয়াছে, তাহা যদি মহাকালের মঙ্গলশন্থনির্ঘোষের মতো আজ না শুনিতে পাই—শুনি কেবল লৌকিকতার কলকলা এবং সাম্প্রদায়িকতার বাগবিন্যাস—তবে সমস্তই ব্যর্থ হইয়া গেল। এই সমস্ত ধনাড়ম্বরের নিবিড় কুঙ্কটিকারাশি ভেদ করিয়া একবার সেই সমস্ত পবিত্র দৃশ্বের মধ্যে লইয়া যাও—যেখানে ধূলিশয্যায় নগ্নদেহে তোমার সাধক বসিয়া আছেন যেখানে তোমার সর্বত্যাগী সেবক কর্তব্যের কঠিনপথে রিক্তহস্তে ধাবমান হইয়াছেন—যেখানে তোমার বরপুত্রগণ দারিত্র্যের দ্বারা নিস্পিষ্ট, বিষয়ীদের দ্বারা পরিত্যক্ত, মদগন্ধদের দ্বারা অপমানিত । হায় দেব, সেখানে কোথায় দীপচ্ছটা, কোথায় বাদ্যোস্যম, কোথায় স্বর্ণভাণ্ডার, কোথায় মণিমাল্য। কিন্তু সেইখানে তেজ, সেইখানে শক্তি, সেইখানে দিবৈশ্বির্য, সেইখানেই তুমি। দূর করে, দূর করে এই সমস্ত আবরণ আচ্ছাদন, এই সমস্ত ক্ষুদ্র দম্ভ, এই সমস্ত মিথ্যা কোলাহল, এই সমস্ত অপবিত্র আয়োজন—মচুন্যত্বের সেই অভ্ৰভেনিচুড়াবিশিষ্ট নিরাভরণ নিস্তদ্ধ রাজনিকেতনের দ্বারের সম্মুখে অন্ত আমাকে দাড়-করাইয়া দাও। সেখানে, সেই কঠিন ক্ষেত্রে, সেই রিক্ত নির্জনতার মধ্যে, সেই বন্ধযুগের অনিমেষ দৃষ্টিপাতের সম্মুখে তোমার निकछे इहेउ नैौक लझेय धडू ।