ধর্ম 8 e > শান্তম আপনাতেই আপনি স্তন্ধ থাকিলে তো প্রকাশ পাইতেই পারেন না —এই যে চঞ্চল বিশ্বজগং কেবলই ঘুরিতেছে, ইহার প্রচণ্ড গতির মধ্যেই তিনি আচঞ্চল নিয়মস্বরূপে আপন শান্তরূপকে ব্যক্ত করিতেছেন। শাস্ত এই সমস্ত চাঞ্চল্যকে বিধৃত করিয়া আছেন বলিয়াই তিনি শান্ত, নহিলে তঁহায় প্রকাশ কোথায় । শিবম কেবল আপনাতেই আপনি স্থির থাকিলে তাহাকে শিবই বলিতে পারি না । সংসারে চেষ্টা ও দুঃখের সীমা নাই, সেই কর্মক্লেশের মধ্যেই অমোঘ মঙ্গলের দ্বারা তিনি আপনার শিবস্বরূপ প্রকাশ করিতেছেন। মঙ্গল সংসারের সমস্ত দুঃখ তাপকে অতিক্রম করিয়া আছেন বলিয়াই তিনি মঙ্গল, তিনি ধর্ম, নহিলে তাহার প্রকাশ কোথায় ? অদ্বৈত যদি আপনাতে আপনি এক হইয়া থাকিতেন তবে সেই ঐক্যের প্রকাশ হুইত কী করিয়া ? আমাদের চিত্ত সংসারে আপনপরের ভেদবৈচিত্র্যের দ্বারা কেবলই আহত প্রতিহত হইতেছে ; সেই ভেদের মধ্যেই প্রেমের দ্বারা তিনি আপনার অদ্বৈতরূপ প্রকাশ করিতেছেন। প্রেম যদি সমস্ত ভেদের মধ্যেই সম্বন্ধ স্থাপন না করিত তবে অদ্বৈত কাহাকে অবলম্বন করিয়া আপনাকে প্রকাশ করিতেন ? জগং অপূর্ণ বলিয়াই তাহ চঞ্চল, মানবসমাজ অপূর্ণ বলিয়াই তাহা সচেষ্ট, এবং আমাদের আত্মবোধ অপূর্ণ বলিয়াই আমরা আত্মাকে এবং অন্য সমস্তকে বিভিন্ন করিয়াই জানি । কিন্তু সেই চাঞ্চল্যের মধ্যেই শান্তি, দুঃখচেষ্টার মধ্যেই সফলতা এবং বিভেদের মধ্যেই প্রেম । অতএব এ-কথা মনে রাধিতে হইবে পূর্ণতার বিপরীত শূন্তত ; কিন্তু অপূর্ণত পূর্ণতার বিপরীত নহে, বিরুদ্ধে নহে, তাহ পূর্ণতারই বিকাশ। গান যখন চলিতেছে যখন তাহা সমে আসিয়া শেষ হয় নাই তখন তাহা সম্পূর্ণ গান নহে বটে কিন্তু তাহ গানের বিপরীতও নহে, তাহার অংশে অংশে সেই সম্পূর্ণ গানেরই আনন্দ তরঙ্গিত হইতেছে। এ নহিলে রস কেমন করিয়া হয় ? রসো বৈ সঃ । তিনিই ষে রসস্বরূপ। অপূর্ণকে প্রতি নিমেষেই তিনি পরিপূর্ণ করিয়া তুলিতেছেন বলিয়াই তো তিনি রস। র্ত্যহাতে করিয়া সমস্ত ভরিয়া উঠিতেছে, ইহাই রসের আকৃতি, ইহাই রসের প্রকৃতি। সেইজন্তই জগতের প্রকাশ আনন্দরূপমমৃতং—ইহাই আনন্দের রূপ, ইহা আনন্দের অমৃতরূপ। সেইজন্যই এই অপূর্ণ জগৎ শূণ্ঠ নহে, মিথ্যা নহে। সেইজন্যই এ-জগতে রূপের মধ্যে অপরূপ, শব্দের মধ্যে বেদন, ফ্রাণের মধ্যে ব্যাকুলত আমাদিগকে কোন অনির্বচনীয়তায় নিমগ্ন করিয়া দিতেছে। সেইজন্ত আকাশ কেবলমাত্র আমাদিগকে বেষ্টন করিয়া নাই তাহ আমাদের হৃদয়কে বিস্ফারিত করিয়া দিতেছে ; আলোক কেবল ولا وهسسسسسجيلا لا
