পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হয়তো ফুৱাইল, কিন্তু আমাদের ইচ্ছার তাগিদ শেষ হইল না—শরীরের আবশুকসাধনে সে যে আনন্দ পাইল, সেই আনন্দকে সে আবশ্বকের বাহিরেও টানিয়া লইয়া যাইতে চেষ্টা করিল-সে নানা কৃত্রিম উপায়ে বিমুখ রসনাকে রসসিক্ত করিতে ও শ্রান্ত পাকযন্ত্রকে উত্তেজিত করিতে লাগিল, এমনি করিয়া বাহিরের সহিত প্রাণের এবং প্রাণের সহিত মনের একতানত নষ্ট করিয়া সে নানা অনাবশুক চেষ্টা, অনাবশ্যক উপকরণ ও শাখাপল্লবায়িত দুঃখের স্বষ্টি করিয়া চলিল । আমাদের যাহা প্রয়োজন, তাহার সংগ্রহই ষথেষ্ট দুরূহ, তাহার উপরে ভূরিপরিমাণ অনাবশুকের বোঝা চাপিয়া সেই আবস্তকের আয়োজনও কষ্টকর হইয়া উঠিয়াছে। শুধু তাহাই নয়—ইচ্ছা যখন একবার স্বভাবের সীমা লজঘন করে, তখন কোথাও তাহার আর থামিবার কারণ থাকে না, তখন সে “হবিষা কৃষ্ণবক্সেব ভূয় এবাভিবর্ষতে”—কেবল সে চাই চাই করিয়া বাড়িয়াই চলে।. পৃথিবীতে নিজের এবং পরের পনেরো আনা দুঃখের কারণ ইহাই । অথচ এই ইচ্ছ- “ শক্তিকেই বিশ্বশক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্তে আনাই আমাদের পরমানন্দের হেতু। এইজন্ত ইচ্ছাকে নষ্ট করা আমাদের সাধনার বিষয় নহে, ইচ্ছাকে বিশ্ব-ইচ্ছার সঙ্গে একমুরে বাধাই আমাদের সকল শিক্ষার চরমলক্ষ্য । গোড়ায় তাহা যদি না করি, তবে আমাদের চঞ্চল মনে জ্ঞান লক্ষ্যভ্রষ্ট, প্রেম কলুষিত ও কর্ম বৃথা পরিভ্রান্ত হইতে থাকে । জ্ঞান, প্রেম ও কর্ম বিশ্বের সহিত সহজ মিলনে মিলিত না হইয়া আমাদের আত্মম্ভরি ইচ্ছার কৃত্রিম স্বষ্টিসকলের মধ্যে মরীচিকা-অনুসরণে নিযুক্ত হইতে থাকে। এইজন্ত আমাদের আয়ুর প্রথম ভাগে ব্রহ্মচর্ষপালনবার ইচ্ছাকে তাহার যথাবিহিত সীমার মধ্যে সহজে সঞ্চরণ করিবার অভ্যাস করাইতে হইবে । ইহাতেই আমাদের বিশ্বপ্রকৃতির সঙ্গে মানস প্রকৃতির মুর বাধা হইয়া আসিবে। তাহার পরে সেই সুরে তোমার সাধ্যমতে ও ইচ্ছামতে যে-কোনো রাগিণী বাজাও না কেন, সত্যের স্বরকে মঙ্গলের সুরকে আনন্দের সুরকে আঘাত করিবে না । এইরূপে শিক্ষার কাল যাপন করিয়া সংসারধর্মে প্রবৃত্ত হইতে হইবে। মছু বলিয়াছেন— · f न छऐ५डॉनि अकTरस्छ नरमिम्रग्लभएगयच्च । இ. বিষয়েৰু প্রজুঃানি বখা জ্ঞানেন নিত্যশ: | विवाहब ८णबा न कबिब्रा cनक्कन गरषधन कब्रा बाब न, दिवाब मियूख थांकिब्र छाप्नब चाब्र बिंख्ोष्ं एषषन्न कुद्मेिश्व। बहद्म। क्षींश्च । । অর্থাৎ বিষয়ে নিযুক্ত না হইলে জ্ঞান পূর্ণতালাভ করে না, এবং ষে সংষম জ্ঞানের দ্বারা লব্ধ নহে, তাহা পূর্ণসংষম নহে—তাহা জড় অভ্যাস বা অনভিজ্ঞতার অন্তরালমাত্র—তাহা প্রকৃতির মূলগত নহে, তাহ বাহিক।