পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন 8છ૧ কথাবার্তা হয়ে গেছে, তিনি আমাদের বলে রেখেছেন তুমি মুক্ত হয়ে আমার কাছে এস—যে ব্যক্তি দাস তার জন্ত আমার আম দরবার খোলা আছে বটে কিন্তু সে আমার খাস দরবারে প্রবেশ করতে পারবে না । এক এক সময় মনের আগ্রহে আমরা তার সেই খাস-দরবারের দরজার কাছে ছুটে যাই—কিন্তু দ্বারী বারবার আমাদের ফিরিয়ে দেয়। বলে, তোমার নিমন্ত্রণ-পত্র কই । খুঁজতে গিয়ে দেখি আমার কাছে যে-কট নিমন্ত্রণ আছে সে ধনের নিমন্ত্রণ, যশের নিমন্ত্রণ, অযুতের নিমন্ত্রণ নয়। বারবার ফিরে আসতে হল—বারবার ! 弼 টিকিট-পরীক্ষককে ফাকি দেবার জো নেই। আমরা দাম দিয়ে যে ইস্টেশনের টিকিট কিনেছি সেই ইস্টেশনেই আমাদের নামতে হবে। আমরা বহুকালের সাধন। এবং বহুদুঃখের সঞ্চয় দিয়ে এই সংসার লাইনেরই নানা গম্যস্থানের টিকিট কিনেছি অন্ত লাইনে তা চলবে না । এবার থেকে প্রতিদিন আবার অন্য লাইনের টাকা সংগ্ৰহ করতে হবে। এবার থেকে যা কিছু সংগ্রহ এবং যা কিছু ত্যাগ করতে হবে সে কেবল সেই প্রেমের জন্যে । সামঞ্জস্য আমরা আর কোনো চরম কথা জানি বা না জানি নিজের ভিতর থেকে একটি চরম কথা বুঝে নিয়েছি সেটি হচ্ছে এই যে, একমাত্র প্রেমের মধ্যেই সমস্ত দ্বন্দ্ব এক সঙ্গে মিলে থাকতে পারে। যুক্তিতে তার কাটাকাটি করে, কর্মেতে তার মারামারি করে, কিছুতেই তারা মিলতে চায় না, প্রেমেতে সমস্তই মিটমাট হয়ে যায়। তর্কক্ষেত্রে কর্মক্ষেত্রে যারা দিতিপুত্র ও অদিতিপুত্রের মতো পরস্পরকে একেবারে বিনাশ করবার জন্তেই সর্বদ উদ্যত, প্রেমের মধ্যে তারা আপন ভাই । তর্কের ক্ষেত্রে দ্বৈত এবং অদ্বৈত পরস্পরের একান্ত বিরোধী ; ই যেমন না-কে কাটে, না যেমন ই-কে কাটে তারা তেমনি বিরোধী। কিন্তু প্রেমের ক্ষেত্রে দ্বৈত এবং অদ্বৈত ঠিক একই স্থান জুড়ে রয়েছে। প্রেমেতে একই কালে দুই হওয়াও চাই এক হওয়াও চাই। এই দুই প্রকাও বিরোধের কোনোটাই বাদ দিলে চলে না—আবার তাদের বিরুদ্ধরূপে থাকলেও চলবে না। যা বিরুদ্ধ তাকে অবিরুদ্ধ হয়ে থাকতে হবে এই এক স্বইছাড়া কাগু এ কেবল প্রেমেতেই ঘটে । এইজন্তই কেন ষে আমি অন্তের জন্তে নিজেকে উংসর্গ করতে ঘাই নিজের ভিতরকার এই রহস্ত তলিয়ে বুঝতে *ांबि cन-किरू चांर्षबिबिगछे cबांक किहूरे श्रृंख् बन्न । ।