পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন 8%ro বিশ্বজগতে সত্য, যিনি বিশ্বসমাজে সত্য র্তার সঙ্গে আমাদের সম্মিলন সত্য হয়ে উঠবে, নইলে পদে পদে বাধতে থাকবে । এ সাধন কঠিন সাধনা, এ পুণ্যের সাধনা, এ কর্মের সাধনা ৷ তার পরে তিনি বলেছিলেন, তমসে মা জ্যোতির্গময়। তিনি যে জ্ঞানস্বরূপ— বিশ্বজগতের মধ্যে তিনি যেমন ধ্রুব সত্যরূপে আছেন, তেমনি সেই সত্যকে যে আমরা জানছি সেই জ্ঞান যে জ্ঞানস্বরূপেরই প্রকাশ । সেইজন্তই তো গায়ত্রী মস্ত্রে একদিকে ভূলোক-ভুবলোক-স্বলোকের মধ্যে র্তার সত্য প্রত্যক্ষ করবার নির্দেশ আছে তেমনি অন্যদিকে আমাদের জ্ঞানের মধ্যে র্তার জ্ঞানকে উপলব্ধি করবারও উপদেশ আছে— ধিনি ধীকে প্রেরণ করছেন তাকে জ্ঞানের মধ্যে ধীস্বরূপ বলেই জানতে হবে । বিশ্বভূবনের মধ্যে সেই সত্যের সঙ্গে মিলতে হবে, জ্ঞানের মধ্যে সেই জ্ঞানের সঙ্গে মিলতে হবে । ধ্যানের দ্বারা যোগের দ্বারা এই মিলন । , তার পরের প্রার্থনা মুত্যোর্মামৃতংগময় । আমরা আমাদের প্রেমকে মৃত্যুর মধ্যে পীড়িত খণ্ডিত করছি ; তোমার অনন্ত প্রেম অখণ্ড আনন্দের মধ্যে তাকে সার্থক করে । আমাদের অস্তঃকরণের বহুবিভক্ত রসের উৎস, হে রসস্বরূপ, তোমার পরিপূর্ণ রসসমূত্রে মিলিত হয়ে চরিতার্থ হ’ক । এমনি করে অন্তরাত্মা সত্যের সংযমে, জ্ঞানের আলোকে ও আনন্দের রসে পরিপূর্ণ হয়ে, প্রকাশই ধার স্বরূপ তাকে নিজের মধ্যে লাভ করুক তাহলেই রুত্রের যে প্রেমমুখ তাই আমাদের চিরন্তন কাল রক্ষা করবে। ৩ পৌষ দেখা এই তো দিনের পর দিন, আলোকের পর আলোক আসছে। কতকাল থেকেই আসছে, প্রত্যহই আসছে। এই আলোকের দূতটি পুষ্পকুঞ্জে প্রতিদিন প্রাতেই একটি আশg বহন করে আনছে ; ষুে-কুঁড়িগুলির ঈষৎ একটু উদগম হয়েছে মাত্র তাদের বলছে, তোমরা আজ জান না কিন্তু তোমরাও তোমাদের সমস্ত দলগুলি একেবারে মেলে দিয়ে সুগন্ধে সৌন্দর্বে একেবারে বিকশিত হয়ে উঠবে। এই আলোকের দূতটি শস্তক্ষেত্রের উপরে তার জ্যোতির্ময় আশীৰ্বাদ স্থাপন করে প্রতিদিন এই কথাটি বলছে, “তোমরা মনে করছ, আজ ৰে বায়ুতে হিরোলিত হয়ে তোমরা খামল মাধুৰে চারিদিকের চক্ষু জুড়িয়ে দিয়েছ এতেই বুৰি তোমাদের সব হয়ে গেল, কিন্তু তা নয় একদিন তোমাদের জীবনের I وج و سسسسينية ج .