পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থ-পরিচয় езе হোক তবু গল্পের দিক থেকে এর কোনে মূল্য নেই লে-কথা মানি । গল্পের সাক্ষ্য গল্পের মধ্যে থাকাই ভালো । து: একজন মহিলা আমাকে চিঠিতে জানিয়েছেন যে তার মতে ইন্দ্রনাথের চরিত্রে উপাধ্যায়ের জীবনের বহিরংশ প্রকাশ পেয়েছে আর অতীজের চরিত্রে ব্যক্ত হয়েছে তার অন্তরতর প্রকৃতি । এ-কথাটি প্রণিধানযোগ্য সন্দেহ নেই। আর-একটা তর্ক আছে । গল্পের প্রসঙ্গে বিপ্লবচেষ্টাসংক্রাস্ত মতামত পাত্রদের মুখে প্রকাশ পেয়েছে। কোনো মতই যদি কোথাও না থাকত তাহলে গল্পের ভূমিকাটা হত নিরর্থক । ধরে নিতে হবে যারা বলছে, তাদেরই চরিত্রের সমর্থনের জন্তে এই সব মত । যদি কেউ সন্দেহ করেন এ-সকল মতের কোনো-কোনোটা আমার মতের সঙ্গে মেলে তবে বলব “এহু বাহ” । এ-কথাটা মিথ্যে হলেও গল্পের মধ্যে তার ষে মূল্য, সত্য হলেও তাই। কোনো মতপ্রকাশের স্বারা পাত্রদের চরিত্রের যদি ব্যত্যয় ঘটে থাকে তাহলেই সেট হবে অপরাধ । যদি কোনো অধ্যাপক কোনোদিন নিঃসংশয়ে প্রমাণ করতে পারেন যে হামলেটের মুখের অনেক কথা এবং তার ভাবভঙ্গী কবির নিজের, সেটা সত্য হোক আর মিথ্যে হোক তাতে নাটকের নাট্যত্বের হ্রাসবৃদ্ধি হয় না। র্তার নাটকে কোথাও তার নিজের ব্যক্তিত্ব কোনো ইঙ্গিতে প্রকাশ পায় নি এমনতরো অবিশ্বাস্ত কথাও যদি কেউ বলেন তবে তার দ্বারাও তার নাটক সম্বন্ধে কিছুই বলা হয় না । অবশেষে সংক্ষেপে আমার মন্তব্যটি জানাই : চার অধ্যায়ের রচনায় কোনো বিশেষ মত বা উপদেশ আছে কিনা সে-তর্ক সাহিত্যবিচারে অনাবশুক । স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে এর মূল অবলম্বন কোনো আধুনিক বাঙালী নায়কনায়িকার প্রেমের ইতিহাস । সেই প্রেমের নাট্যরসাত্মক বিশেষত্ব ঘটিয়েছে বাংলাদেশের বিপ্লবপ্রচেষ্টার ভূমিকায় । এখানে সেই বিপ্লবের বর্ণনা-অংশ গৌণ মাত্র ; এই বিপ্লবের ঝোড়ে আবহাওয়ায় দুজনের প্রেমের মধ্যে ষে তীব্ৰতা যে বেদন এনেছে সেইটেতেই সাহিত্যের পরিচয়। তর্ক ও উপদেশের বিষয় সাময়িক পত্রের প্রবন্ধের উপকরণ। ৮ চৈত্র, ১৩০১ چون)-سالایی دا