পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পলাতক৷ পাহাড়গুলো মরে-যাওয়া গুয়োপোকার মতে, নদীগুলো যত অচল রেখার মিথ্যা কথায় অবাক হয়ে রইত থতমত, সাগরগুলো ফাক1, দেশগুলো সব জীবনশূন্ত কালো-আধর-জাক । ইপিয়ে উঠত পরান আমার ধরণীর এই শিকল-রেখার রূপে,— আমি চুপে চুপে মেঝের পরে বসে যেতেম ঐ জানলার পাশে । ঐ যেখানে শুকনো জমি শুকনো শীর্ণ ঘাসে পড়ে আছে এলোথেলো, তাকিয়ে ওরি পানে কার সালে মোর মনের কথা চলত কালে কালে | ঐ যেখানে ছাইয়ের গাদ আছে বসুন্ধর দাড়িয়ে হোথায় দেপা দিতেন এই ছেলেটির কাছে । মাথার পরে উদার নীলাঞ্চল সোনার আভায় করত ঝলমল । সাত সমুদ্র তেরো নদীর সুদূর পারের বাণী আমার কাছে দিতেন আনি । ম্যাপের সঙ্গে হত না তার মিল, বইয়ের সঙ্গে ঐক্য তাহার ছিল না এক তিল । তার চেহারা নয় তো অমন মস্ত ফণকা আঁচড়-কাটা আপর-আকা,— নয় সে তো কোন মাইল-মাপ বিশ্ব, অসীম ষে তার দৃপ্ত ; আবার অসীম সে অদৃশু । এখন আমার বয়স হল ষাট,— গুরুতর কাজের ঝঞ্চাট । পাগল করে দিল পলিটিকসে, কোনট। সত্য কোনটা স্বপ্ন আজকে নাগাদ হয় নি জানা ঠিক সে ; ইতিহাসের নজির টেনে, সোজ। একটা দেশের স্বাড়ে চাপাই আরেক দেশের কর্মফলের বোঝা, © ©