পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S88 ब्रोश-ख़फ़नायी মৰ্মঘাতী। সে আমি ক্ষমা করতে পারি নে। ভূমি আমাকে বিয়ে করতে পার না, যেহেতু তুমি যাকে বিশ্বাস কয় আমি তাকে করি নে বুদ্ধি আছে বলে। কিন্তু তোমাকে বিয়ে করতে আমার তো কোনো বাধা নেই, তুমি আবুকের মতো সত্য মিথ্যে যাইবিশ্বাস করা-না কেন । তুমি তো নাক্তিকের জাত মারতে পার না। আমার ধর্মের শ্রেষ্ঠত এইখানে । সব দেবতার চেয়ে তুমি আমার কাছে প্ৰত্যক্ষ সত্য, এ কথা ভুলিয়ে দেবার জন্যে একটি দেবতাও নেই। আমার সামনে ।” বিভা চুপ করে বসে রইল। খানিক বাদে অতীক বলে উঠল, “তোমার ভগবান কি আমার বাবারই মতো। আমাকে ত্যাজ্যপুত্র করেছেন ?” "चाई, दी बकह ।” অভীক জানে বিয়ে না করবার শক্ত কারণটা কোনখানে । কথাটা বিভাকে দিয়ে বলিয়ে নিতে চায়, বিভা চুপ করে থাকে। জীবনের আরম্ভ থেকেই বিভা তার বাবারই মেয়ে সম্পূর্ণরূপে। এত ভালোবাসা, এত ভক্তি সে আর-কোনো মানুষকে দিতে পারে নি। তার বাপ সতীশও এই মেয়েটির উপরে ষ্ঠার অজস্র জেহ ঢেলে দিয়েছেন। তাই নিয়ে ওর মার মনে একটু ঈর্ষা ছিল। বিভা ইন্স পুষেছিল, তিনি কেবলই খিটখিটু করে বলেছিলেন, “ওগুলো বজাড় বেশি কঁ্যাক কঁ্যাক করে।' বিভা আসমানি রঙের শাড়ি জ্যাকেট করিয়েছিল, মা বলেছিলেন, “এ কাপড় বিভার রঙে একটুও মানায় না।” বিভা তার মামাতো বোনকে খুব ভালোবাসত। তার বিয়েতে যেতে চাইলেই মা বলে বসলেন, “সেখানে ম্যালেরিয়া।' মায়ের কাছ থেকে পদে পদে বাধা পেয়ে পেয়ে বাপের উপরে বিভার নির্ভর আরো গভীর এবং भयङाडि श्श शिहिल । মার মৃত্যু হয় প্রথমেই । তার পরে ওর বাপের সেবা অনেকদিন পর্যন্ত ছিল বিভার একমাত্ৰ ব্ৰত। এই স্নেহশীল বাপের সমস্ত ইচ্ছাকে সে নিজের ইচ্ছা করে নিয়েছে। সতীশ ঠার বিষয়সম্পত্তি দিয়ে গেছেন মেয়েকে । কিন্তু ট্রাস্টার হাতে । নিয়মিত মাসহায় বরাদ্দ ছিল । মোট টাকাটা ছিল উপযুক্ত পাত্রের উদ্দেশে বিভার বিবাহের অপেক্ষায় । বাপের আদর্শে এই উপযুক্ত পাত্র কে তা বিভাজানত। অন্তত অনুপযুক্ত যে কে তাতে কোনো সন্দেহ ছিল না। একদিন অভীক এ কথা তুলেছিল, বলেছিল, “ধাকে তুমি কষ্ট দিতে চাও না, তিনি তো নেই, আর কষ্ট যাকে নিষ্ঠুরভাবে বাজে সেই লোকটাই আছে বেঁচে । হাওয়ায় তুমি চুরি মারতে ব্যথা পাও, আর দরদ নেই এই রক্তমাংসের বুকের পরে।” শুনে বিভা বঁকাদতে কঁাদতে চলে গেল । অতীক বুঝেছিল, ভগবানকে নিয়ে তর্ক চলতে পারে, কিন্তু বাবাকে নিয়ে নয় । বেলা প্ৰায় দশটা । বিভার ভাইঝি সুস্মি এসে বললে, “পিসিমা, বেলা হয়েছে।” বিভা তার হাতে চাবির গোছা ফেলে দিয়ে বললে, “তুই ভঁড়ার বের করে দে । আমি এখনি যুচ্ছি।” বেকারদের কাজের বাধা সীমা না থাকাতেই কাজ বেড়ে যায় । বিভিার সংসায়ও সেইরকম । সংসারের দায়িত্ব আত্মীয়পক্ষে হালকা ছিল বলেই অনামীয়পক্ষে হয়েছে বহুবিস্তৃত। এই ওর আপনগড়া সংসারের কাজ নিজের হাতে করাই ওর অভ্যাস, চাকরিবােকর পাছে কাউকে অবজা করে । অভীক বললে, “অন্যায় হবে তোমার এখনই যাওয়া, কেবল আমার পরে নয় সুন্মির পরেও। ওকে স্বাধীন কর্তৃত্বের সময় দাও না কেন । ডোমিনিয়ন স্টটস, অন্তত আজকের মতো। তা ছাড়া আমি তোমাকে নিয়ে একটা পরীক্ষা করতে চাই, কখনো তোমাকে কাজের কথা বলি নি । আজ বলে দেখব। নতুন অভিজ্ঞতা হবে ।” বিভা বললে, “তই হোক, বাকি থাকে কেন ।” পকেট থেকে অভীক চামড়ার কেস বের করে খুলে দেখালে। একটা কবজিঘড়ি। ঘড়িটা প্লাটিনমেয়, সোনার মণিবন্ধ, হীরের টুকরোর হিট দেওয়া । বললে, “তোমাকে বেচিতে চাই ।” “অবাক করেছ, বেচাবে ?”