পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্যের পধৈ 8èe ধনী ছিলেন অসম্ভব । ব্যবহারে প্রসাদগুণ ছিল চমৎকার। যা-কিছু এর চোখে পড়ত মনে হত, আহ, আমি যদি হুতুম ইনি। এ দিকে আমরা ৰখন মরছি খেটে খেটে, তাকিয়ে আছি কখন জলবে আলো, ' ভোজনের পালায় মাংস জোটে না, গাল পাড়ছি মোট রুটিকে— এমন সময় একদিন শাস্ত বসন্তের রাত্রে রিচার্ড কোডি গেলেন বাড়িতে, মাথার মধ্যে চালিয়ে দিলেন এক গুলি ॥১ এই কবিতার মধ্যে আধুনিকতার ব্যঙ্গকটাক্ষ বা অট্টহাস্ত নেই, বরঞ্চ কিছু করুণার আভাস আছে। কিন্তু, এর মধ্যে একটা নীতিকথা আছে, সেটা আধুনিক নীতি। সে হচ্ছে এই যে, যা স্বস্থ ব'লে মুন্দর ব’লে প্রতীয়মান তার অস্তরে কোথাও একটা সাংঘাতিক রোগ হয়তো আছে। যাকে ধনী বলে মনে হয় তার পর্দার আড়ালে লুকিয়ে ব’সে আছে উপবাসী। যারা সেকেলে বৈরাগ্যপন্থী র্তারাও এই ভাবেই কথা বলেছেন। বারা বেঁচে অাছে তাদের তারা মনে করিয়ে দেন, একদিন বঁাশের দোলায় চড়ে শ্মশানে যেতে হবে । যুরোপীয় সন্ন্যাসী উপদেষ্টারা বর্ণনা করেছেন মাটির নিচে গলিত দেহকে কেমন ক’রে পোকায় খাচ্ছে । যে দেহকে স্বন্দর ব’লে মনে করি সে যে অস্থিমাংসরসরক্তের কদর্ষ সমাবেশ, সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আমাদের চট্রক ভাঙিয়ে দেবার চেষ্টা নীতিশাস্ত্রে দেখা গেছে। বৈরাগ্যসাধনার পক্ষে প্রকৃষ্ট উপায়, এইরকম প্রত্যক্ষ বাস্তবের প্রতি বারে বারে অশ্রদ্ধা জন্মিয়ে দেওয়া। কিন্তু কৰি তো বৈরাগীর চেলা নয়, সে তো অমুরাগেরই পক্ষ নিতে এসেছে। কিন্তু, এই আধুনিক যুগ কি এমনি জরাজীর্ণ ষে সেই কবিকেও লাগল শ্মশানের হাওয়া– এমন কথা সে খুশি হয়ে বলতে শুরু করেছে, যাকে মহং বলে মনে করি সে ঘুণে ধর, ধাকে স্বন্দর ব’লে আদর করি তারই মধ্যে অস্পৃশ্যতা ? মন ধাদের বুড়িয়ে গেছে তাদের মধ্যে বিশুদ্ধ স্বাভাবিকভার জোর নেই। সে মন অশুচি অৱস্থ হয়ে ওঠে। বিপরীত পন্থায় সে মন নিজের অসাড়তাকে দূর করতে চায়,

  • मूल रूषेिडा शtउद्र कांtइ न पांकरिष्ठ प्रब्र१ रू'tब्र उईमा रूब्राउ इन, किहू जो शैठ गीरब्र ।