পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী أسط ه (يا “সে-ভয় মনে আছে, বাবা, পাছে শেষ পর্যন্ত ঠাট্টাং হয়ে ওঠে " “এ সন্দেহটা পাত্রের পরে দোষারোপ * . “বাবা, সংসারটাকে হেসে হালকা করে রাখা কম ক্ষমত নয় ।" , & “মাসি, দেবতাদের সেই ক্ষমতা আছে, তাই দেবতারা বিবাহের অযোগ্য, দময়ষ্ঠা সে-কথা বুঝেছিলেন ।” “আমার লাবণ্যকে সত্যি কি তোমার পছন্দ হয়েছে ?" “কী রকম পরীক্ষা চান, বলুন।" "একমাত্র পরীক্ষা হচ্ছে, লাবণ্য যে তোমার হাতেই আছে, এইটি (৩ামার নিশ্চি : জানা ।" “কথাটাকে আর-একটু ব্যাখ্যা করুন।” “যে-রতুকে সস্তায় পাওয়া গেল, তারও আসল মূল্য যে বোঝে সে-ই জানব জহুরি।" "মাসিম, কথাটাকে বড়ো বেশি স্বক্ষ করে তুলছেন । মনে হচ্ছে যেন একটা ছোটাে গল্পের সাইকোলজিতে শান লাগিয়েছেন । কিন্তু কথাটা আসলে যথেষ্ট মোটজাগতিক নিয়মে এক ভদ্রলোক, এক ভদ্র রমণীকে বিয়ে করবার জন্যে পেপেছে ! দোষেগুণে ছেলেটি চলনসই, মেয়েটির কথা বল। বাহুল্য । এমন অবস্থায় সাধারণ মাসিমার দল স্বভাবের নিয়মেই খুশি হয়ে তপনই টেকি; ই আনন্দনাডু কুটতে শুরু করেন ।” “ভয় নেই, বাবা, টেকিতে পা পড়েছে । ধরেই নাও, লবণাকে তুমি পেয়েইছ । তার পরেও হাতে পেয়েও যদি তোমার পাবার ইচ্ছে প্রবল থেকেই যায় তবেই বুঝব লাবণ্যর মতো মেয়েকে বিয়ে করবার তুমি যোগ্য ।” “আমি যে এ-হেন আধুনিক আমাকে সুপ্ত তাক লাগিয়ে দিলেন " “আধুনিকের লক্ষণটা কী দেখলে ? “দেখছি বিংশ শতাব্দীর মাসিমারা বিয়ে দিতেও ভয় পান ।” “তার কারণ আগেকার শতাব্দীর মাসিমার! বাদের লিয়ে দিতেন তারা ছিল পেলার পুতুল। এখন যারা বিয়ের উমেদার মাসিমাদের পেলার শপ মেটাবার দিকে তাদের মন নেই।” “ভয় নেই আপনার । পেয়ে পাওয়া ফুরোয় না, বরঞ্চ চাওয়া বেড়েই ওঠে, লাবণ্যকে বিয়ে করে এই তত্ত্ব প্রমাণ করবে বলেই অমিত রায় মর্তে অবতীর্ণ। নইলে, আমার মোটরগাড়িট অচেতন পদার্থ হয়েও অস্থানে অসময়ে এমন অদ্ভূত অঘটন ঘটিয়ে বসবে কেন ?"