পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R(ł8 রবীন্দ্র-রচনাবলী ইস্কাবনী । এ তো দেখি পবনদেবের উলটােপালটা খেলা- তাসীরা হতে চায় রঙ খসিয়ে মানুষ, মানুষ চায় রঙ মেখে তাসী হতে। আমি কিন্তু, ভাই, ঠিক করেছি, মানুষের মন্তর নেব রাজপুত্ত্বরের pe টেক্কানী । আমিও । দহলানী । আমারও ইচ্ছে করে, কিন্তু ভয়ও করে । শুনেছি। মানুষের দুঃখ ঢের, তাসের কোনো বালাই নেই । ইস্কাবনী । দুঃখের কথা বলছিস, ভাই ? দুঃখ যে এখনি শুরু করেছে তার নৃত্য বুকের মধ্যে। টেক্কানী। কিন্তু, সেই দুঃখের নেশা ছাড়তে চাই নে। থেকে থেকে চোখ জলে ভেসে যায়, কেন যে ভেবেই পাই নে । গান কেন নয়ন আপনি ভেসে যায়, Nन्म 6<bन्म ७ीन्मन्म द665 সহসা কী কথা মনে পড়ে, মনে পড়ে না গো, তবু মনে পড়ে । যেন কাহার বচন দিয়েছে বেদন, যেন কে চলে গিয়েছে। অনাদরে বাজে তারি অন্যতন প্ৰাণের ‘’’পরে । যেন সহসা কী কথা মনে পড়ে, মনে পড়ে না গো, তবু মনে পড়ে। ইস্কাবনী । পালাও পালাও, সম্পাদক আসছে। কাগজে যদি রটে যায় তা হলে মুখ দেখাতে পারব ୪୩ । দহলানী । ঐ-যে দলবল সবাই আসছে । বুড়ে নিমতলায় আজ সভা বসবে । এখানে আর নয় । | প্ৰস্থান রাজাসাহেব প্রভৃতির প্রবেশ রাজা । এ জায়গাটা কেমন ঠেকছে। ওটা কিসের গন্ধ । পাঞ্জা ।। কদম্বের । রাজা ।। কদম্ব ! অদ্ভুত নাম । ওটা কী পাখি ডাকছে। পঞ্জা । শুনেছি, ওকে বলে ঘুঘু । রাজা । ঘুঘু ! তাসের ভাযায়। ওকে একটা ভদ্র নাম দাও, বলো বিনতি - আজ তো কাজ করা দায় হয়েছে । আজ আকাশে কথা শোনা যাচ্ছে, বাতাসে সুর উঠেছে। অনেক কষ্টে মনকে শান্ত রেখেছি। রানীবিবিকে তো ঘরে রাখা শক্ত হল, নেচে বেড়াচ্ছে ভূতে-পাওয়ার মতো । সভ্যগণ, তোমাদের আজ চেনা যায় না- সভার সাজা নেই, অত্যন্ত অসভ্যোর মতো । সকলে । দোষ নেই। ঢিলে হয়ে গেল আমাদের সাজ, আপনি পড়ল। খসে- সেগুলো রাস্তায় রাস্তায় ছড়িয়ে আছে । রাজা । সম্পাদক, তোমারও যেন গান্তীর্যহানি হয়েছে বলে বোধ হচ্ছে । গোলাম । সকাল থেকে আছি বনে, পলাতকাদের নাম সংগ্ৰহ করার জন্যে । এখানকার হাওয়া লেগেছে। সম্পাদকীয় স্তম্ভ ভরাতে গিয়ে দেখি, লেখনী দিয়ে ছন্দ ঝরছে। শুনেছি, আধুনিক ডাক্তার এইরকম নিঃসারণকেই বলে ইনফুলুয়েঞ্জা । রাজা । কিরকম, একটা নমুনা দেখি । t