সেঁজুতি
জীবনের স্মৃতিদীপে আজিও দিতেছে যারা জ্যোতি সেই ক’টি বাতি দিয়ে রচিব তোমার সন্ধ্যারতি সপ্তর্ষির দৃষ্টির সম্মুখে ; দিনাস্তের শেষ পলে রবে মোর মৌন বীণা মূছিয়া তোমার পদতলে ।
আর রবে পশ্চাতে আমার, নাগকেশরের চার ফুল ধার ধরে নাই, আর রবে খেয়াতরীহার। এ পারের ভালোবাসা – বিরহস্মৃতির অভিমানে ক্লান্ত হয়ে রাত্রিশেষে ফিরিবে সে পশ্চাতের পানে ।
গৌরীপুর-ভবন । কালিম্পং
২৫ বৈশাখ ১৩৪৫
পত্রোত্তর
ডাক্তার শ্ৰীকুরেন্দ্রনাথ দাসগুপ্তকে লিখিত
চিরপ্রশ্নের বেদীসম্মুখে চিরনির্বাক্ রহে বিরাট নিরুত্তর, তাহারি পরশ পায় যবে মন নম্রললাটে বহে
আপন শ্রেষ্ঠ বর।
খনে খনে তারি বহিরঙ্গণদ্বারে পুলকে দাড়াই, কত কী যে হয় বলা ; শুধু মনে জানি বাজিল না বীণাতারে পরমের স্বরে চরমের গীতিকলা ।
চকিত আলোকে কখনো সহসা দেখা দেয় সুন্দর,
দেয় না তবুও ধরা—
মাটির দুয়ার ক্ষণেক খুলিয়া আপন গোপন ঘর
দেখায় বস্কন্ধরা।
२ॐ
পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৯
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
