রবীন্দ্র-রচনাবলী سbریا\
অনুপ্রেরণা আছে সেট ও পাড়ার শাস্ত্রবচনের বেড়া এড়িয়ে চলে গেল। ভয় কোরো না তোমরা, যে রসরাজের নিমন্ত্রণে এসেছ তার প্রসন্নতা যেমন আজ নেমেছে আমাদের নিকুঞ্জে ওই অন্তঃক্ষিত গন্ধরাজমুকুলের প্রচ্ছন্ন গন্ধরেণুতে, তেমনি নামুক তোমাদের কণ্ঠে, তোমাদের দেহলতার নিরুদ্ধনটনোৎসাহে। সেই যিনি স্বরের গুরু, তারই চরণে তোমাদের নৃত্যের নৈবেদ্য আজ নিঝরিত করে দাও।
সুরের গুরু, দাও গো স্বরের দীক্ষা – মোরা স্বরের কঙাল, এই আমাদের ভিক্ষণ ।
মন্দাকিনীর ধারা উষার শুকতারা কনকচাপা কানে কানে যে সুর পেল শিক্ষা।
তোমার স্বরে ভরিয়ে নিয়ে চিত্ত যাব যেথায় বেস্থর বাজে নিত্য ।
কোলাহলের বেগে ঘূর্ণি উঠে জেগে, নিয়ো তুমি আমার বীণার সেইখানেই পরীক্ষা ।
তুমি স্বন্দর যৌবনঘন,
রসময় তব মূতি,
দৈগুভরণ বৈভব তব
অপচয়পরিপূর্তি।
নৃত্য গীত কাব্য ছন্দ
কলগুঞ্জন বর্ণ গন্ধ মরণহীন চিরনবীন
তব মহিমাঙ্গুতি।
ও দিকে আধুনিক আমলের বারোয়ারির দল বলছে, উৎসবে নতুন কিছু চাই । কোণা-কাটা ত্যাড়াবাকা দুমামকরা কড়া-ফ্যাশানের আহেলা বেলাতি নতুনকে না হলে তাদের শুকনো মেজাজে জোর পেচচ্ছে না। কিন্তু, যাদের রসবেদন আছে
পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৭৮
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
