পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় ○ Q Q বঙ্কিমচন্দ্রের নিকট বিভিন্ন সময়ে যে উৎসাহ ও আহুকুল্য লাভ করিয়াছিলেন রবীন্দ্রনাথ প্রবন্ধশেষে তাহার উল্লেখ করিয়া বলেন— ‘অধিক দিনের কথা নহে ; ইতিপূর্বেই যে সভায় আমি সাধারণের সমক্ষে প্রবন্ধ পাঠ করিয়াছিলাম, বঙ্কিমচন্দ্র তাহার সভাপতি থাকিয়া আমাকে পরম সম্মানিত এবং উৎসাহিত করিয়াছিলেন। তখন কে কল্পনা করিয়াছিল তাহার অনতিকাল পরে পুনশ্চ এই সাধারণ সভায় দাড়াইয়া তাহার বিয়োগে বঙ্গসাহিত্য এবং বঙ্গদেশের হইয়া আমাকে শোক প্রকাশ করিতে হইবে । কে জানিত আমার সহিত র্তাহার সেই শেষ ঐহিক সম্বন্ধ। একুদিন আমার প্রথম বয়সে কোনো নিমন্ত্রণসভায় তিনি নিজকণ্ঠ হইতে আমাকে পুষ্পমাল্য পরাইয়াছিলেন, সেই আমার জীবনের সাহিত্যচর্চার প্রথম গৌরবের দিন। তাহার পরে সেদিন তিনি আমার প্রবন্ধ শ্রবণ করিয়া সমাদরসহকারে আমার বক্তৃতার স্থলে সভাপতি হইতে স্বীকার করিলেন ; সে সৌভাগ্য অন্য লোকের পক্ষে এমন বিরল ছিল এবং সেই সমাদরবাক্য এমন অন্তরের সহিত উচ্চারিত হইয়াছিল যে, আজ তাহ লইয়া সর্বসমক্ষে গর্ব করিলে ভরসা করি সকলে আমাকে মার্জনা করিবেন। কিন্তু সেই পুরস্কার যে র্তাহার হস্ত হইতে আমার শেষ পুরস্কার হইবে তাহা আমি স্বপ্নেও জানিতাম না । সেই-সকল উৎসাহবাক্য সাহিত্যপথযাত্রার মহামূল্য পাথেয়স্বরূপে আমার স্মৃতির ভাণ্ডারে সাদরে রক্ষিত হইল ; তদপেক্ষ উচ্চতর পুরস্কার আর এ জীবনে প্রত্যাশা করিতে পারিব না।’” বঙ্কিমচন্দ্রের স্মৃতিসভায় সভাপতিত্ব করিবার জন্য কবি নবীনচন্দ্র সেন অমুরুদ্ধ ৫ চৈতন্ত লাইব্রেরির অধিবেশনে পঠিত ইংরেজ ও ভারতবাসী, সাধন, ১৩• • আশ্বিন-কার্তিক। महेवा लभंभथ७ ब्ररीौडाप्रकनांवली, ۹ م .ہءx -s • و | ৬ দ্রষ্টব্য ‘জীবনস্মৃতি প্রথম সংস্করণ, পৃ. ১৫২ ৷ 'বউঠাকুরানীর হাট পড়িয়া বঙ্কিমচন্দ্র রবীন্দ্রনাথকে একটি চিঠি লিখিয়াছিলেন , রবীন্দ্রনাথ সে-সম্বন্ধে লিখিয়াছেন— এই গল্প বেরোবার পরে বঙ্কিমের কাছ থেকে একটি অযাচিত প্রশংসাপত্র পেয়েছিলুম, সেটি ইংরেজি ভাষায় লেখা। সে পত্রটি হারিয়েছে কোনো বন্ধুর অযত্বকরক্ষেপে । বঙ্কিম এই মত প্রকাশ করেছিলেন যে, বইটি যদিও কঁাচ বয়সের প্রথম লেখ। তবু এর মধ্যে ক্ষমতার প্রভাব দেখা দিয়েছে— এই বইকে তিনি নিন্দ করেন নি। ছেলেমামুষির ভিতর থেকে আননা পাবার এমন-কিছু দেখেছিলেন, যাতে অপরিচিত বালককে হঠাৎ একটা চিঠি লিখতে তাকে প্রবৃত্ত করলে। দুরের যে পরিণতি অজানা ছিল সেইটি তার কাছে কিছু আশার আশ্বাস এনেছিল। তার কাছ থেকে এই উৎসাহবাণী আমার পক্ষে ছিল বহুমূল্য। —সুচনা, বউঠাকুরানীর হাট, রবীন্দ্র-রচনাবলী, প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ ৭ পৃ ৪১•, বতর্মানে যেখানে প্রবন্ধ শেষ হইয়াছে তাহার পরেই মুদ্রিত ছিল। 9אס\|(5