পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शैव-झनाक्नै থাকিতে পারেনা। একটা বৃহৎ রাজ্যব্যবহার মধ্যে কেবল কেরানিগিরির রান্তা খোলা রাখিলে মানবচরিত্রের বিচিত্ৰ শক্তিকে তাহার স্বাভাবিক স্বাস্থ্যকর চালনার ক্ষেত্র দেওয়া হয় না। রাজ্যের মধ্যে বীর্যধর্মেরও পথ রাখা চাই, নহলে মানবধর্মকে পীড়া দেওয়া হয়। তাহার অভাবে কেবলই গুপ্ত উত্তেজনা অন্তঃশীলা হইয়া বহিতে থাকে- সেখানে তাহার গতি অত্যন্ত আকৃত এবং পরিণাম অভাবনীয়। আমার বিশ্বাস সেকালে যদি গবর্মেন্টের সন্দিন্ধতা অত্যন্ত ভীষণ হইয়া উঠিত। তবে তখন আমাদের সেই সভার বালকের যে-বীরত্বের প্ৰহসনমাত্র অভিনয় করিতেছিল, তাহ কঠোর ট্রাজেডিতে পরিণত হইতে পারিত। অভিনয় সাজ হইয়া গিয়াছে, ফোর্ট উইলিয়মের একটি ইউকিও খসে নাই এবং সেই পূর্ববৃতির আলোচনা করিয়া আজ আমরা হাসিতেছি । ভারতবর্কের একটা সৰ্বজনীন পরিচ্ছদ কী হইতে পারে, এই সভায় জ্যোতিদাদা তাহার নানাপ্রকারের নমুনা উপস্থিত রুরিতে আরম্ভ করিলেন। ঘূতিটা কর্মক্ষেত্রের উপযোগী নহে। অথচ পায়জামটা বিজাতীয় এইজন্য তিনি এমন একটা আপস করিবার চেষ্টা করিলেন যেটাতে ধুতিও ক্ষুব্ধ হইল, পায়জামাও প্রসন্ন হইল না। অর্থাৎ, তিনি পায়জামার উপর একখণ্ড কাপড় পাট করিয়া একটা স্বতন্ত্র কৃত্রিম মালকেঁচা জুড়িয়া দিলেন। সোলার টুপির সঙ্গে পাগড়ির সঙ্গে মিশাল করিয়া এমন একটা পদাৰ্থ তৈরি হইল যেটাকে অত্যন্ত উৎসাহী লোকেও শিরোভূষণ বলিয়া গণ্য করতে পারে না। এইরূপ সর্বজনীন পোশাকের নমুনা সৰ্ব্বজনে গ্ৰহণ করিবার পূর্বেই একলা নিজে ব্যবহার করিতে পাের যে-সে লোকের সাধ্য নহে। জ্যোতিদাদা অম্লান বদনে এই কাপড় পরিয়া মধ্যাফের প্রখর আলোকে গাড়িতে গিয়া উঠিতেন- আন্তীয় এবং বান্ধব, দ্বারী এবং সারথি সকলেই অবাক হইয়া তাকাইত, তিনি ভুক্ষেপমাত্র করিতেন না। দেশের জন্য অকাতরে প্ৰাণ দিতে পারে এমন বীরপুরুষ অনেক থাকিতে পারে। কিন্তু দেশের মঙ্গলের জন্য সর্বজনীন পোশাক পরিয়া গাড়ি করিয়া কলিকাতার রান্ত দিয়া যাইতে পারে এমন লোক নিশ্চয়ই বিরল। রবিবারে রবিবারে জ্যোতিদাদা দলবল লইয়া শিকার করিতে বাহির হইতেন। রুবাহুত অনাহুত যাহারা আমাদের দলে আসিয়া জুটিত তাহদের অধিকাংশকেই আমরা চিনিতাম না। তাহদের মধ্যে ছুতার কামার প্রভৃতি সকল শ্রেণীরই লোক ছিল। এই শিকারে রক্তপাতটাই সবচেয়ে নগণ্য ছিল, অন্তত সেরাপ ঘটনা আমার তো মনে পড়ে না। শিকারের অন্য সমস্ত অনুষ্ঠানই বেশ ভরপুরমাত্রায় ছিল- আমরা হত-আহত পশুপক্ষীর অতিতুচ্ছ অভাব কিছুমাত্র অনুভব করিতাম না। প্ৰাতঃকালেই বহির হইতাম। বউঠাকুরানী রাশীকৃত লুট তরকারি প্রস্তুত করিয়া আমাদের সঙ্গে দিতেন। ঐ জিনিসটাকে শিকার করিয়া সংগ্ৰহ করিতে হইত না বলিয়াই, একদিনও আমাদিগকে উপবাস করতে হয় নাই। মানিকতলায় পোড়োবাগানের অভাব নাই। আমরা যে-কোনো একটা বাগানে ঢুকিয়া পড়িতাম | পুকুরের বাধানো ঘাট বসিয়া উচ্চমীচনির্বিচারে সকলে একত্র মিলিয়া লুচির উপরে পড়িয়া মুহূর্তের মধ্যে কেবল পত্রিটাকে মাত্র বাকি রাখিতাম । ব্ৰজবাবুও আমাদের অহিংস্ৰক শিকারিদের মধ্যে একজন প্রধান উৎসাহী। ইনি মেট্রোপলিটান কলেজের সুপারিন্টেন্ডেন্ট এবং কিছুকাল আমাদের ঘরের শিক্ষক ছিলেন। ইনি একদিন শিকার হইতে ফিরিবার পথে একটা বাগানে ঢুকিয়াই মালিকে ডাকিয়া কছিলেন, "ওরে, ইতিমধ্যে মামা কি বাগানে আসিয়ছিলেন।” মাটি তাহাকে শশব্যন্ত হইয়া প্ৰণাম করিয়া কহিল, “আজি না, বাৰু তো আসে নাই।” ব্ৰজবাবু কহিলেন, “আচ্ছা! BDB BDO DBS BDD DD BLBC uLuuuB BDD DD DS আমাদের দলের মধ্যে একটি মধ্যবিত্ত জমিদার ছিলেন। তিনিনিষ্ঠাবান হিন্দু। তাহার গঙ্গার ধারে একটি বাগান ছিল। সেখানে গিয়া আমরা সকল সভ্য একদিন জাতিক নির্বিচারে আহায়করিলাম। অপরান্ত্রে বিক ঝড়। সেই ঝড়ে আমরা গঙ্গার ঘাট দাঁড়াইয়া চীৎকার শব্দে গান’ জুড়িয়া দিলাম। রাজনারায়ণবাবুর করে সাতটা সুর যে বেশ বিশুদ্ধভাবে খেলিত অহা নহে। কিন্তু তিনিও গলা হাড়িয়া দিলেন, এবং সূত্রের চেয়ে y “wa ay ng ang नौवनाश क्लचि ஈ- ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী, ১৩ সংখ্যক и quifèrè, ግ ነፃo