পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণগাথা >>Q ওগো শ্রাবণের পূর্ণিমা আমার আজি রইলে আড়ালে । স্বপনের আবরণে লুকিয়ে দাড়ালে । আপনারি মনে জানি নে একেল৷ হৃদয়-অঙিনায় করিছ কী খেলা, তুমি আপনায় খুজে কি ফের’ কি তুমি আপনায় হারালে । এ কি মনে রাখা, এ কি ভুলে যাওয়া, এ কি স্রোতে ভাসা, এ কি কুলে বাওয়া । কন্তু বা নয়ানে কহু বা পরানে কর লুকোচুরি কেন-যে কে জানে, কন্তু বা ছায়ায় কহু ব। আলোয় কোন দোলায়-যে নাড়ালে । রাজ। বুঝতে পারলুম না এর মনোরঞ্জন হল কিনা। সে অসাধ্য চেষ্টায় প্রয়োজন নেই। আমার অনুরোধ এই, রসের ধারাবর্ষণ যথেষ্ট হয়েছে, এথন রসের ঝোড়ে। হাওয়া লাগিয়ে দাও । নটরাজ । মহারাজ, আপনার সঙ্গে আমারও মনের ভাব মিলছে । এবার শ্রাবণের ভেরীধ্বনি শোনা যাক। সুপ্তকে জাগিয়ে তুলুক, চেতিয়ে তুলুক অন্তমনাকে । ওরে ঝড় নেমে আয়, আয় রে আমার শুকনে পাতার ডালে— এই বরষায় নবখ্যামের আগমনের কালে যা উদাসীন, যা প্রাণহীন, যা আনন্দহার চরম রাতের অশ্রধারায় আজ হয়ে যাক সার। -- যাবার যাহা যাক সে চলে রুদ্রনাচের তালে । অসম আমার পাততে হবে রিক্ত প্রাণের ঘরে, নবীন বসন পরতে হবে সিক্ত বুকের পরে । নদীর জলে বান ডেকেছে, কুল গেল তার ভেসে, যুর্থীবনের গন্ধবাণী ছটল নিরুদেশে— পরান আমার জাগল বুঝি মরণ-অন্তরালে । রাজা । আমার সভাকবিকে বিমর্ষ করে দিয়েছ । তোমাদের এই গানে গানকে