পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৩. রবীন্দ্র-রচনাবলী জেনেরেশনের কেন্থিজের বড়ো পদবীধারী। মাস আষ্টেক আগে কোনো কলেজের অধ্যক্ষপদ ত্যাগ করে এখানকার এস্টেটের একটা পোড়ো বাড়ি ভাড়া নিয়ে নিজের খরচে সেটা বাসযোগ্য করেছেন । ميني ! ”,” * s | | ': আমার গল্পের আদিপর্ব হল শেষ। ছোটাে গল্পের আদি ও অস্তের মাঝখানে বিশেষ একটা ছেদ থাকে না— ওর আকৃতিটা গোল। অচিরার সঙ্গে আমার অপরিচয়ের ব্যবধান ক্ষয় হয়ে আসছে। কিন্তু মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে যেন পরিচয়টাই ব্যবধান । কাছাকাছি আসছি বটে কিন্তু তাতে একটা প্রতিঘাত জাগছে। কেন ? অচিরার প্রতি আমার ভালোবাসা ওর কাছে স্পষ্ট হয়ে আসছে, অপরাধ ৰুি তারই মধ্যে। কিংবা আমার দিকে ওর সৌহৃদ্য ফুটতর হয়ে উঠছে, সেইটেতেই ওর গ্লানি । কে জানে। সেদিন চড়িভাতি তনিক নদীর তীরে। " অচিরা ডাক দিলে, “ডাক্তার সেনগুপ্ত ।” আমি বললুম, “সেই প্রাণীটার কোনো ঠিকানা নেই, সুতরাং কোনো জবাব মিলবে না।”

  • আচ্ছ, তা হলে নবীনবাৰু।” *

“সেও ভালো, যাকে বলে মন্দর ভালো।” “কাওটা কী দেখলেন তো ?” আমি বললুম, “আমার সামনে লক্ষ্য করবার বিষয় কেবল একটিমাত্রই ছিল, আর কিছুই ছিল না।” ቈየኤ এইটুকু ঠাট্টায় অচির সত্যই বিরক্ত হয়ে বললে, “আপনার আলাপ ক্রমেই যদি অমন ইশারাওয়ালা হয়ে উঠতে থাকে তা হলে ফিরিয়ে আনব ডাক্তার সেনগুপ্তকে, র্তার স্বভাব ছিল গভীর।” আমি বললুম, “আচ্ছ তা হলে কাওটা কী হয়েছিল বলুন।” "ঠাকুর ষে ভাত রেখেছিল সে কড়কড়ে, আদ্ধেক তার চাল। আমি বললুম, দাছ, এ তে তোমার চলবে না। দাছ অমনি ব’লে বসলেন, জান তো ভাই, খাবার জিনিস শক্ত হলে ভালো করে চিবোবার দরকার হয়, তাতেই হজমের সাহায্য করে। পাছে আমি দুঃখ করি দাদুর জেগে উঠল সায়েন্সের বিষ্ঠে। নিমকিতে হনের বদলে যদি চিনি দিত তা হলে নিশ্চয় দাজু বলত, চিনিতে শরীরের এনার্জি বাড়িয়ে দেয়।”