পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় br>> পরিশিষ্ট সার লেপেল গ্রিফিন Jari | Tekef y Sidd ইংরাজের আতঙ্ক সাধনা । পৌষ ১৩০০ রাজা ও প্ৰজা । ykor | SK6 Y\SOoY প্ৰসঙ্গ কথা ১-৫ ভারতী । জ্যৈষ্ঠ, শ্রাবণ, আশ্বিন, কার্তিক, অগ্রহায়ণ ১৩০৫ মুখুজে বনাম বাড়জে ভারতী । ভাদ্র ১৩০৫ অপর পক্ষের কথা ভারতী । আশ্বিন ১৩০৫ আলট্ৰা-কনসার্ভেটিভ ভারতী । কার্তিক ১৩০৫ বিরোধমূলক আদর্শ বঙ্গদর্শন । আশ্বিন ১৩০৮ রাষ্ট্রনীতি ও ধর্মনীতি বঙ্গদর্শন । কার্তিক ১৩০৯ রাজকুটুম্ব বঙ্গদর্শন । বৈশাখ ১৩১০ ঘুষাঘুষি বঙ্গদর্শন । ভাদ্র ১৩১০ বঙ্গবিভাগ " বঙ্গদর্শন । জ্যৈষ্ঠ ১৩১১ দেশের কথা বঙ্গদর্শন । শ্রাবণ ১৩১১ ব্যাধি ও প্ৰতিকার ৩৯ প্ৰবাসী । শ্রাবণ ১৩১৪ ৩৯ রবীন্দ্রনাথের শ্রদ্ধাস্পদ বন্ধু রামেন্দ্রসুন্দর ত্ৰিবেদী মহাশয় ১৩১৪ সালের আশ্বিনের প্রবাসীতে রবীন্দ্রনাথের এই প্রবন্ধে নির্দিষ্ট ‘পথকেই আমাদের গন্তব্য পথ বলিয়া নির্দিষ্ট' করিয়াও, “সেই পথেও বিনা বাধায় চলিতে পাইব কিনা তাহা আলোচনা করেন, এবং প্রসঙ্গক্রমে রবীন্দ্রনাথের কোনো কোনো মন্তব্যের প্ৰতিবাদ করেন । তাহার প্রবন্ধের উপক্ৰমণিকা এইরূপ দুবৎসর ধরিয়া মাতামতির পর কতকটা স্নায়বিক অবসাদে, কতকটা ইংরেজের ভুকুটিদর্শনে আমরা এখন ঠাণ্ডা হইয়া পড়িতেছি। রবিবাবুও সময় বুঝিয়া আমাদিগকে বলিতেছেন, মাতামতিতে বিশেষ কিছু হইবে না, এখন কাজ করে । আজ যিনি আমাদিগকে আস্ফালনে ক্ষান্ত হইবার জন্য উপদেশ দিতেছেন, বাংলার ইতিহাসে এই নূতন অধ্যায়ের আরম্ভে আমি তাহারই কৃতিত্ব দেখিতে পাইতেছি। ইংরেজের নিকট "আবেদন নিবেদন' করিয়া তাহার প্রসাদ গ্ৰহণ করিলে কিছুই স্থায়ী লাভ হইবে না, ইংরেজের মুখাপেক্ষা না করিয়া আপনার বলে ও আপনার চেষ্টায় যেটুকু পাওয়া যায় তাহাই স্থায়ী লাভ, বঙ্গবিভাগের কিছুদিন পূর্ব হইতে র্তাহার কণ্ঠস্বর অত্যন্ত উচ্চ ও অত্যন্ত তীব্ৰ হইয়া মুহুর্মুহু ঐ কথা আমাদের কানে প্রবেশ করাইতেছিল ।. স্বদেশীর আগুন যখন জ্বলিয়া উঠিয়াছিল তখন রবীন্দ্রনাথের লেখনী তাহাতে বাতাস দিতে ক্ৰটি করে নাই। বেশ মনে আছে, ৩০শে আশ্বিনের পূর্ব হইতে হাপ্তায় হস্তায় তাহার এক-একটা নূতন গান বা কবিতা বাহির হইত, আর আমাদের স্নায়ুতন্ত্ৰ কঁপিয়া আর নাচিয়া উঠিত। নিস্ফল ও অনাবশ্যক আন্দোলনে তিনি কখনোই উপদেশ দেন নাই ; কিন্তু সে সময়টায় যে উত্তেজনা ও উন্মাদনা ঘটিয়াছিল তাহার জন্য রবীন্দ্রনাথের কৃতিত্ব নিতান্ত অল্প ছিল না । উত্তেজনার বশে আমরা দুই বৎসর ধবিয়া ‘ইংরেজের অনুগ্রহ লইব না- ইংরেজের শাসনযন্ত্ৰ আচল করিয়া দিব বলিয়া লাফালাফি করিয়া আসিতেছি ; এবং ইংরেজ-রাজা যখন সেই লাফালাফিতে ধৈৰ্যভ্রষ্ট হইয়া লগুড় তুলিয়া আমাদের গলা চাপিয়া ধরিয়াছেন তখন আমাদের সেই অস্বাভাবিক আস্ফালনের নিস্ফলতা -দর্শনে ব্যথিত হইয়া রবীন্দ্রনাথ বলিতেছেন- ও পথে চলিলে হইবে নামাতামাতি-লাফালাফির কর্ম নহে, নীরবে ধীরভাবে কাজ করিতে হইবে ।-- --রবিবাবু কেবল “কাজ করো’। ‘কাজ করো বলিয়া উপদেশ দিয়া চীৎকারের মাত্রাই বাড়াইতেছেন না, বরং কোন পথে কাজ করা যাইতে পারে তাহার দু-একটা নমুনাও নিজের হাতে লইয়া দেখাইতেছেন। --ব্যাধি ও প্ৰতিকার । প্রবাসী, আশ্বিন ১৩১৪