পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রকৃতির প্রতিশোধ ఎగి তোরে নিয়ে যাব আমি নুতন জগতে। পদাঘাতে ভেঙেছিমু জগৎ আমার— ছোটো এ বালিকা এর ছোটো ছুটি হাতে আবার ভাঙা জগৎ গড়িয়া তুলিল । আহা, তোর মুখখানি শুকায়ে গিয়েছে, চরণ দাড়াতে যেন পারিছে না অfর । অনিদ্রায়, অনাহারে, মধ্যাহ্ন-তপনে তিন দিবসের পথ কেমনে এলি রে । আয় রে বালিকা তোরে বুকে করে নিয়ে যেথা ছিমু ফিরে যাই সেই গুহামাঝে । [ প্রস্থান দ্বাদশ দৃশ্য গুহার দ্বারে সন্ন্যাসী । এইখানে সব বুঝি শেষ হয়ে গেল ! যে ধ্যানে অনস্তকাল মগ্ন হব বলে আসন পাতিয়াছিনু বিশ্বের বাহিরে, আরম্ভ না হতে হতে ভেঙে গেল বুঝি। তারি মুখ জাগে মনে সমাধিতে বলে, তারি মুখ হৃদয়ের প্রলয়-আঁধারে সহসা তারার মতো কোথা ফুটে ওঠে, সেই দিকে আঁখি যেন বদ্ধ হয়ে থাকে, ক্রমে ক্রমে অন্ধকার মিলাইয়া যায়, জগতের দৃপ্ত ধীরে ফুটে ফুটে ওঠে— গাছপালা, সুর্যালোক, গৃহ, লোকজন কোথা হতে জেগে ওঠে গুহার মাঝারে । সদা মনে ফু বালা কোথায় না জানি,