পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లీ: 8 রবীন্দ্র-রচনাবলী শাসন করবার ক্ষমতা নেই। একটা সামান্য যুদ্ধ, এর জন্তে অমনি কাশ্মীর থেকে সৈন্য এল, এর চেয়ে উপহাস আর কী হতে পারে । এই গুনে মহারাজ আগুন হয়ে কুমারসেনকে পাচটা ভৎসনা করে এক দূত পাঠিয়ে দেন । কুমারসেন উদ্ধত যুবপুরুষ, সহ করতে পারবে কেন ? বোধ করি সেও দূতকে ছু-কথা শুনিয়ে । দিয়ে থাকবে । নারায়ণী । তা বেশ তো— কুমারসেন তো রাজার পর নয়, আপনার লোক, তা কথা চলছিল বেশ তাই চলুক। তুমি কাছে না থাকলে রাজার ঘটে কি দুটো কথাও জোগায় না ? কথা বন্ধ করে অস্ত্র চালাবার দরকার কী বাপু । ওই ওতেই তো হার হল । দেবদত্ত । আসল কথা একটা যুদ্ধ করবার ছুতে । রাজা এখন কিছুতেই যুদ্ধ ছাড়তে পারছেন না । নানা ছল অন্বেষণ করছেন । রাজাকে সাহস করে দুটো ভালো কথা বলে এমন বন্ধু কেউ নেই। আমি তো আর থাকতে পারছি নে— আমি চললুম। নারায়ণী । যেতে ইচ্ছে হয় যাও, আমি কিন্তু একলা তোমার ঘরকন্ন করতে পারব না । তা আমি বলে রাখলুম। এই রইল তোমার সমস্ত পড়ে রইল । আমি বিবাগী হয়ে বেরিয়ে যাব । দেবদত্ত । রোসো, আগে অামি ফিরে আসি তার পর যেয়ো । বল তো আমি থেকে যাই । নায়ায়ণ । না না তুমি যাও । আমি কি আর তোমাকে সত্যি থাকতে বলছি ? ওগো তুমি চলে গেলে আমি একেবারে বুক ফেটে মরব না, সেজন্যে ভেবে না । আমার বেশ চলে যাবে । দেবদত্ত । তা কি আর আমি জানি নে ? মলয়-সমীরণ তোমার কিছু করতে পারবে না । বিরহ তো সামান্য, বজ্রাঘাতেও তোমার কিছু হয় না ! [ প্রস্থানোন্মুখ নারায়ণী । হে ঠাকুর, রাজাকে সুবুদ্ধি দাও ঠাকুর । শীঘ্র শীঘ্র ফিরিয়ে আনে । দেবদত্ত । এ-ঘর ছেড়ে কখনো কোথাও যাই নি । হে ভগবান, এদের সকলের উপর তোমার দৃষ্ট রেখো। Նա [ প্রস্থান