পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* ቈ l f 1 * + | l | | o, o * | I 棘 • 'v' , * రిఖ8 rt রবীন্দ্র-রচনাৰলী l ** ኣዥ কিছুই বুৰিতে পারি না। সকলেই আমাকে অবহেলা করিতে লাগিল, পিতা । আমাকে ঘৃণা করিতে লাগিলেন। আমার আশা একেবারে পরিত্যাগ করিলেন। একবার খোজও লইতেন না । সুরমার চক্ষে জল আসিল । সে কহিল, “আহা ! কেমন করিয়া পারিত !” তাহার দুঃখ হইল, তাহার রাগ হইল, সে কহিল, “তোমাকে যাহারা নির্বোধ মনে করিত তাহারাই নির্বেtধ ।” উদয়াদিত্য ঈষৎ হাসিলেন, সুরমার চিবুক ধরিয়া তাহার রোধে আরক্তিম মুখখানি নাড়িয়া দিলেন। মুহূর্তের মধ্যে গম্ভীর হইয়া কছিলেন, “ন, মুরমা, সত্য সত্যই আমার রাজ্যশাসনের বুদ্ধি নাই । তাছার যথেষ্ট পরীক্ষা হইয়া গেছে । আমার যখন ষোল বৎসর বয়স, তখন মহারাজ কাজ শিখাইবার জন্ত হোসেনখালি পরগনার ভার আমার হাতে সমর্পণ করেন। ছয় মাসের মধ্যেই বিষম বিশৃঙ্খলা ঘটিতে লাগিল। খাজনা কমিয়া গেল, প্রজার আশীৰ্বাদ করিতে লাগিল । কর্মচারীরা আমার বিরুদ্ধে রাজার নিকটে অভিযোগ করিতে লাগিল । রাষ্ট্ৰসভার সকলেরই মত হইল, যুবরাজ প্রজাদের যখন অত প্রিয়পাত্র হইয়া পড়িয়াছেন, তখনই বুঝা যাইতেছে উহার দ্বারা রাজ্যশাসন কখনো ঘটতে পারিবে না। সেই অবধি মহারাজ আমার পানে আর বড়ো একটা তাকাইতেন না। বলিতেন- ও কুলাঙ্গার ঠিক রায়গড়ের খুড়া বসন্ত রায়ের মতো হইবে, সেতার বাজাইয়া নাচিয়া বেড়াইবে ও রাজ্য অধঃপাতে দিবে।” সুরমা আবার কহিলেন, “প্রিয়তম, সহ করিয়া থাকে, ধৈর্য ধরিয়া থাকে। হাজার হউন, পিতা তো বটেন। আজকাল রাজ্য-উপার্জন, রাজ্যবৃদ্ধির একমাত্র দুরাশায় তাহার সমস্ত হৃদয় পূর্ণ রহিয়াছে, সেখানে মেহের ঠাই নাই। যতই তাহার আশা পূর্ণ হইতে থাকিবে, ততই তাহার মেহের রাজ্য বাড়িতে থাকিবে।” যুবরাজ কছিলেন, “সুরমা, তোমার বুদ্ধি তীক্ষ, দূরদর্শী, কিন্তু এইবারে তুমি ভুল বুঝিয়াছ। এক তো আশার শেষ নাই ; দ্বিতীয়ত, পিতার রাজ্যের সীমা যতই বাড়িতে থাকিবে, রাজ্য যতই লাভ করিতে থাকিবেন, ততই তাহা হারাইবার ভয় র্তাহার মনে বাড়িতে থাকিবে ; রাজকাৰ্য যতই গুরুতর হইয়া উঠিবে, ততই আমাকে তাহার অনুপযুক্ত মনে করিবেন।” সুরমা ভুল বুঝে নাই, ভুল বিশ্বাস করিত মাত্র ; বিশ্বাস বুদ্ধিকেও লঙ্ঘন করে। মে একমনে আশা করিত, এইরূপই ধেন হয়। o “চাৰিদিকে কোথাও বা কৃপাদৃষ্টি কোথাও বা অবহেলা সহ করিতে ন পারির