পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

eఆ রবীন্দ্র-রচনাবলী । যুবরাজ কহিলেন, তাহার কারণ পরে বলিব । এখন বলে তো দাদামহাশয় (等ff研 河に護エ l * \ . . . . . . “আজ্ঞা, তাহার তো চটতেই থাকিবার কথা ।” “সে কী ! সেখানে তো তাহাকে দেখিলাম না ।” সে অবাক হইয়া কহিল, “ত্রিশ জন অনুচর সমেত মহারাজ যশোর উদ্দেশে যাত্রা করিয়াছেন। আমি কাৰ্যবশত পিছাইয়া পড়িয়াছিলাম। এই চটিতে আজ সন্ধ্যাবেল তাহার সহিত মিলিবার কথা ।” “পথে যেরূপ কাদ। তাহাতে পদচিহ্ন থাকিবার কথা, তাহাই অনুসরণ করিয়৷ আমি তাহার অনুসন্ধানে চলিলাম। তোমার ঘোটক লইলাম । তুমি পদব্রজে खाद्देज ।” চতুর্থ পরিচ্ছেদ ৰিজন পথের ধারে অশখ গাছের তলায় বাহকশ্বন্ত ভূতগস্থিত এক শিবিকার মধ্যে বৃদ্ধ বসন্ত রায় বসিয়া আছেন । কাছে আর কেহ নাই, কেবল একটি পাঠান শিবিকার বাহিরে। একটা জনকোলাহল দূরে মিলাইয়া গেল। রজনী স্তব্ধ হইয়া গেল। বসন্ত রায় জিজ্ঞাস করিলেন, “খ সাহেব, তুমি ষে গেলে না ?” পাঠান কহিল, "হুজুর, কী করিয়া যাইব ? আপনি আমাদের ধনপ্রাণ রক্ষার জন্য আপনার সকল অনুচরগুলিকেই পাঠাইলেন । আপনাকে এই পথের ধারে রাত্রে অরক্ষিত অবস্থায় ফেলিয়া যাইব, এতবড়ো অকৃতজ্ঞ আমাকে ঠাহরাইবেন না । আমাদের কবি বলেন, যে আমার অপকার করে সে আমার কাছে ঋণী ; পরকালে সে ঋণ তাহাকে শোধ করিতে হুইবে ; ষে আমার উপকার করে আমি তাহার কাছে ঋণী, কিন্তু কোনোকালে তাহার সে ঋণ শোধ করিতে পারিব না।” বসন্ত রায় মনে মনে কহিলেন, বাহুবা, লোকটা তো বড়ো ভালো। কিছুক্ষণ বিতর্ক করিয়া পালকি হইতে র্তাহার টাকবিশিষ্ট মাথাটি বাহির করিয়া কছিলেন, “খ সাহেব, তুমি বড়ো ভালো লোক ।” থ সাহেব তৎক্ষণাৎ এক সেলাম করিলেন । এ-বিষয়ে বসন্ত রায়ের সহিত সাহেবের কিছুমাত্র মতের জনৈক্য ছিল না। বসন্ত রায় মশালের আলোকে তাহার মুখ নিৰীক্ষণ করিয়া কছিলেন, “তোমাকে বড়োঘরের লোক বলিয়া মনে হইতেছে।”