পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেচারার অপরাধ কী দেখা যাক ভোরের বেলা অধাশনে বেরিয়েছে, সমস্ত দিন খেটেছে । হতভাগা আর দুটো পয়সা বেশি উপার্জন করৰার আশায় রাত্রের বিশ্রামটা তোমাকে দু-চার আনায় বিক্রি করেছে। নিতান্ত গরিব বলেই তার এই ব্যবসায়, বড়োসাহেবকে ঠকাবার জন্যে সে যড়যন্ত্র করে নি। { এই ব্যক্তি রাত্রে পাখা টানতে টানতে মাঝে মাঝে ঘুমিয়ে পড়ে—এ দোষটা তার আছে বলতেই হবে । 障 কিন্তু আমার বোধ হয় এটা মানবজাতির একটা আদিম পাপের ফল। যন্ত্রের মতো বসে বসে পাখা টানতে গেলেই আদমের সস্তানের চোখে ঘুম আসবেই । সাহেব নিজে একবার পরীক্ষা করে দেখতে পারেন । এক ভূত্যের দ্বারা কাজ না পেলে দ্বিতীয় ভৃত্য রাখা যেতে পারে, কিন্তু যে কাপুরুষ তাকে লাথি মারে সে নিজেকে অপমান করে, কারণ তখনই তার একটি প্রতিলাথি প্রাপ্য হয়—সেটা প্রয়োগ করবার লোক কেউ হাতের কাছে উপস্থিত নেই, এইটুকুমাত্র প্রভেদ । তোমরা অবসর পেলেই আমাদের বলে থাক যে, তোমাদের মধ্যে যখন বাল্যবিবাহ প্রভূতি সামাজিক কুপ্রথা প্রচলিত তখন তোমরা রাজ্যতন্ত্রের মধ্যে কোনো স্বাধীন অধিকার প্রাপ্তির যোগ্য নও। কিন্তু তার চেয়ে এ-কথা সত্য যে, যে-জাত নিরাপদ দেখে দুবলের কাছে ‘তেরিয়া’—অর্থাৎ তোমরা যাকে বলে ‘বুলি’—যার কোনো বাংলা প্রতিশব্দ নেই— অপ্রিয় অশিষ্ট ব্যবহার যাদের স্বভাবত আসে, কেবল স্বার্থের স্থলে যারা নম্রভাব ধারণ করে, তারা, কোনো বিদেশী রাজ্যশাসনের যোগ্য নয় । অবশু -যাগ্যতা রকমের আছে-ধৰ্মত এবং কার্বত। এমন কতকগুলি স্থল আছে, যেখানে শুদ্ধমাত্র কৃতকারিতাই যোগ্যতার প্রমাণ নয়। গায়ের জোর থকেলে অনেক কাজই বলপূর্বক চালিয়ে দেওয়া যায় কিন্তু বিশেষ বিশেষ কাজে বিশেষ বিশেষ উপযোগী নৈতিক গুণের দ্বারাই সে কার্যবহনের প্রকৃত অধিকার পাওয়া ষায় । কিন্তু ধর্মের শাসন সন্ত সন্ত দেখা যায় না বলে যে, ধর্মের রাজ্য অরাজক তা বলা যায় না । এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নিষ্ঠুরতা এবং প্রতিদিনের ঔদ্ধত্য প্রতিদিন সঞ্চিত হচ্ছে, এক সময় এরা তোমাদেরই মাথায় ভেঙে পড়বে। so d যদি বা আমরা সকল অপমানই নীরবে অথবা , কথঞ্চিৎ কলরব সহকারে সহ করে বাই, প্রতিষ্কারের কোনো ক্ষমতাই যদি আমাদের না থাকে, তবু তোমাদের अक्रल इटद मl ।