পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কড়ি ও কোমল রচনার পূর্বে ক্লাব্যের ভাষা আমার কাছে ধর । দেয়নি। কাচা বয়সে মনের ভাবগুলে। নূতনত্বের আবেগ নিয়ে রূপ ধরতে চাচ্ছে কিন্তু যে উপাদানে তাদেরকে শরীরের বাধন দিতে পারত । डांब्रट्टे श्रवह उथन उब्रल ; ७ईछ८छ e९zला झटग्नट्झ ८छल्लेeश्रांलt छटलद्र উপরকার প্রতিবিশ্বের মতো আঁকাবঁকা ; ওর মূর্ত হয়ে ওঠেনি মৃতরাং কাব্যের পদবীতে পৌঁছতে পারেনি। সেইজন্যে আমার মত এই যে, কড়ি ও কোমলের পর থেকেই আমার কাব্যরচনা ভালে৷ মন্দ সব-কিছু নিয়ে একটা স্পষ্ট স্বষ্টির ধারা অবলম্বন করেছে । " d প্রভাতসংগীতে যে অবস্থায় আমার প্রথম বিকাশোন্মুখ মন অপরিণত ভাবনা নিয়ে অপরিস্ফুট রচনায় প্রবৃত্ত হয়েছিল, তার কথা আজও আমার মনে আছে। তার পূর্বে সন্ধ্যাসংগীতের পর্বে আমার মনে কেবলমাত্র হৃদয়াবেগের গদগদভাষী আন্দোলন চলছিল। প্রভাতসংগীতের ঋতুতে আপনাআপনি দেখা দিতে আরম্ভ করেছে একটাআধটা মননের রূপ, অর্থাৎ ফুল নয় সে, ফসলের পাল, সেও অশিক্ষিত বিন চাষের জমিতে । সেই সময়কার কথা মনে পড়ছে যখন কোথা থেকে কতকগুলো মত মনের অন্দরমহলে জেগে উঠে সদরের দরজায় ধাক্কা দিচ্ছিল । ওইগুলোর নাম—অনন্ত জীবন, অনন্ত মরণ, প্রতিধ্বনি । ‘অনন্ত জীবন’ বলতে আমার মনে এই একটা ভাব এসেছিল— বিশ্বজগতে আসা এবং যাওয়৷ হুটোই থাকারই অন্তর্গত, ঢেউয়ের মতো আলোতে ওঠা এবং অন্ধকারে নাম। ক্ষণে ক্ষণে ই এবং ক্ষণে ক্ষণে না নিয়ে এই জগৎ নয়, বিশ্বচরাচর গোচর-অগোচরের নিরবচ্ছিন্ন মালা গাথা। এই ভাবনাটা