পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী সেই বেতার-বার্তার কান খোলে নি তখনো, যদিও প্রমাণ হচ্ছিল জড়ো । ইতিমধ্যে আমাদের জীবননাট্যে সাজ হয়েছে বদল । ও পরেছে শাড়ি, আঁচলে বিধিয়েছে ব্রোচ, বেণী জড়িয়েছে হাল ফেশনের খোপায় । আমি ধরেছি খাকি রঙের খাটো প্যান্ট আর খেলোয়াড়ের জামা ফুটবল-বলরামের নকলে। ভিতরের দিকে ভাবের হাওয়ারও বদল হল শুরু, কিছু তার পাওয়া যায় পরিচয়। একদিন কনির বাবা পড়ছেন বসে ইংরেজি সাপ্তাহিক । বড়ো লোভ আমার ঐ ছবির কাগজটার পরে। আমি লুকিয়ে পিছনে দাড়িয়ে দেখছি উড়ো জাহাজের নকশা । জানতে পেরে তিনি উঠলেন হেসে । তিনি ভাবতেন, ছেলেটার বিদ্যার দম্ভ বেশি। সেটা তারও ছিল ব’লেই আর কারও পারতেন না সইতে । কাগজখানা তুলে ধরে বললেন, "বুঝিয়ে দাও তো বাপু, এই কাঁটা লাইন, দেখি তোমার ইংরেজি বিদ্যে ।” নিষ্ঠুর অক্ষরগুলোর দিকে তাকিয়ে মুখ লাল করে উঠতে হল ঘেমে। ঘরের এক কোণে বলে