পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

〉〉や রবীন্দ্র-রচনাবলী এখন ওদের সম্বন্ধের পথ রইল শুধু এ পারে ও পারে চিঠি লেখার সাকো বেয়ে। কিন্তু নবনী তো সাজিয়ে লিখতে জানে না মনের কথা, ও কেবল যত্বের স্বাদ লাগাতে জানে সেবাতে, অর্কিডের চমক দিয়ে যেতে ফুলদানির পরে কুশলের চোখের আড়ালে, গোপনে বিছিয়ে আসতে নিজের-হাতে-কাজ-করা আসন যেখানে কুশল পা রাখে। কুশল ফিরল দেশে, বিয়ের দিন করল স্থির। আঙটি এনেছে বিলেত থেকে, গেল সেটা পরাতে ; গিয়ে দেখে ঠিকানা না রেখেই নবনী নিরুদেশ। তার ডায়ারিতে আছে লেখা, "যাকে ভালোবেসেছি সে ছিল অন্য মানুষ, চিঠিতে যার প্রকাশ, এ তো সে নয়।” এ দিকে কুশলের বিশ্বাস তার চিঠিগুলি গদ্যে মেঘদূত, বিরহীদের চিরসম্পদ । আজ সে হারিয়েছে প্রিয়াকে, কিন্তু মন গেল না চিঠিগুলি হারাতে— ওর মমতাজ পালালো, রইল তাজমহল । নাম লুকিয়ে ছাপালো চিঠি উদভ্ৰাম্ভপ্রেমিক’ আখ্যা দিয়ে। নবনীর চরিত্র নিয়ে বিশ্লেষণ ব্যাখ্যা হয়েছে বিস্তর।