পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সে ఫిe a ব্ৰক্ষা লম্বা হাতে তোমাকে গড়েছে রাতে যবে শেষ হল অালোবৃষ্টি । লম্বা হাতে বলবার তাৎপর্ব কী হল । মেয়েটি ঢ্যাঙ আছে শুনেছি, তোমার চেয়ে ইঞ্চি দুই-তিন বড়ো হবে । তাই শুনেই তো আমার উৎসাহ । বলো কী । একখানা মেয়ে বিয়ে করতে গিয়ে পাওয়া যাবে আধখানা ফাউ। এ কথাটা আমার মাথায় ওঠে নি। যা হোক দাদা, সহ-সম্পাদকের কাছে হার মেনে ও হার-মানার একটা কবুলতি দিয়ে দিয়েছে । কী রকম । মাছের আঁশের হার গেঁথে ওর গলায় পরিয়েছে, বলেছে যশঃসৌরভ তোমার সঙ্গে সঙ্গে ফিরবে । আমি লাফ দিয়ে ব’লে উঠলুম, ধন্য ! এবার দেখছি এক অসাধারণের সঙ্গে জারএক অসাধারণের মিলন হবে, জগতে এমন কদাচিৎ ঘটে । তা হলে আর কেন দিন ক্ষণ দেখা । কিন্তু মেয়েটির পণ, ওকে যে হারাতে পারবে তাকেই ও বিয়ে করবে। রূপে ? না, কথার মিলে । ঠিকমত যদি মেলাতে পারি তা হলে ও নিজেকে দেবে জলাঞ্জলি । পারবে তো ? নিশ্চয় । প্ল্যানটা কী শুনি । বলব, চার লাইনে আমার চরিত্র বর্ণনা করে, স্তবে আমাকে খুশি ক'রে দাও । মিল হওয়া চাই ফস্ট ক্লাস । 鼎 কনে দেখার যদি পেটেণ্ট, নেওয়া চলত তুমি নিতে পারতে ! বরের স্তব দ্বিয়ে শুরু ! অতি উত্তম । উমা তাতেই জিতেছিলেন। প্রথম লাইনটা ওকে ধরিয়ে দিতে হবে, নইলে আমার চরিত্রের থই পাবে না ; আমার বর্ণনার ধুয়োটি হচ্ছে এই— ՀՆԱՖ8