পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সে శిరివి আরে আরে, গা স্থাতে হবে না, বলে বাও । চুলুকুনি ছিল গায়ে ; চুলকতে গিয়ে দেখি, না আছে নখ, না আছে চুলকনি। ভয়ানক দুঃখ হল। হাউহাউ ক’রে র্কাদতে লাগলুম, কিন্তু ছেলেবেলা থেকে ষে হাউহাউট বিনা মূল্যে পেয়েছিলুম লে গেল কোথায়। যত চেঁচাই চেঁচানোও হয় না, কান্নাও শোনা যায় না। ইচ্ছে হল, মাথা ঠুকি বটগাছটাতে ; মাথাটার টিকি খুঁজে পাই নে কোথাও। সব চেয়ে ছখ– বারোটা বাজল, ‘খিদে কই’ ‘খিদে কই’ বলে পুকুরধারে পাক খেয়ে বেড়াই, খিদে-বাদরটার চিহ্ন মেলে না। কী বক্‌ছ তুমি, একটু থামো । ও দাদা, দোহাই তোমার, থামতে বোলো না । থামবার দুঃখ যে কী অ-থামা মামুষ সে তুমি কী বুঝবে। থামব না, আমি থামব না, কিছুতেই থামব না, যতক্ষণ পারি থামব না । এই বলে ধুপ ধাপ, ধুপ ধাপ, ক’রে লাফাতে লাগল, শেষকালে ডিগবাজি খেলা শুরু করলে আমার কাপেটের উপর, জলের মধ্যে শুশুকের মতো । করছ কী তুমি । দাদা, একেবারে বাদশাহি থামা থেমেছিলুম, আর কিছুতেই থামছি নে ! মারধোর যদি কর সেও লাগবে ভালো । আস্ত কিলের যোগ্য পিঠ নেই যখন জানতে পারলুম, তখন সাতকড়ি পণ্ডিতমশায়ের কথা মনে ক’রে বুক ফেটে যেতে চাইল, কিন্তু বুক নেই তো ফাটবে কী। কই-মাছের যদি এই দশা হত তা হলে বামুনঠাকুরের হাতে পায়ে ধরত তাকে একবার তপ্ত তেলে এপিঠ ওপিঠ ওলটাতে পালটাতে । আহা, যে পিঠখানা হারিয়েছে সেই পিঠে পণ্ডিতমশায়ের কত কিলই খেয়েছি, ইট দিয়ে তৈরি খইয়ের মোয়াগুলোর মতো । আজ মনে হয়, উৎ-– দাদা, একবার কিলিয়ে দাও খুব ক’রে দমাদম— ব’লে আমার কাছে এসে পিঠ দিলে পেতে । আমি আঁৎকে উঠে বললুম, বাও যাও, সরে যাও । ও বললে, কথাটা শেষ ক’রে নিই। একখানা গা খুঁজে খুঁজে বেড়ালুম গায়ে গায়ে। বেলা তখন তিন পহর। যতই রোদে বেড়াই কিছুতেই রোদে পুড়ে সারা হচ্ছি নে, এই দুঃখটা যখন অসহ এমন সময় দেখি, আমাদের পাতুখুড়ো মুচিখোলার বটগাছতলায় গাজা খেয়ে শিবনেত্র। মনে হল, তার প্রাণপুরুষটা বিন্দু হয়ে ব্ৰহ্মতালুর চূড়োয় এলে জোনাক-পোকার মতো মিটমিটু করছে। বুঝলুম, হয়েছে স্থযোগ । নাকের গর্ত দিয়ে আত্মারামকে ঠেলে চালিয়ে দিলুম তার দেহের মধ্যে, নতুন নাগরা জুতোর soix, *