পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\bა ჭ রবীন্দ্র-রচনাবলী তখন দিঘির বাধ ছাপিয়ে ছুটছে মাঠে জল, মাছ ধরতে হো হে রবে জুটছে মেয়ের দল । তালের আগা ঝড়ের তাড়ায় শূন্তে মাথা কোটে, মেঘের ডাকে জানলগুলো খড় খড়িয়ে ওঠে । ভেবেছিলুম, শাস্ত হয়ে পড়ছ ক্লাসে তুমি, জানি নে তো কখন এমন শিখেছ দুষ্ট.মি। খোকা বলে, ঐ যে তোমার ইন্দ্রলোকের ছেলে— তাদের কেন এমনতরো দুই মিতে পেলে । ওরা যখন নেমে আসে আমবাগানের পরে— ডাল ভাঙে আর ফল ছেড়ে আর কী কাগুটাই করে । আসল কথা, বাদল যেদিন বনে লাগায় দে’ল, ডালে-পালায় লতায়-পাতায় বাধায় গণ্ডগোল— সেদিন ওরা পড়াশুনোয় মন দিতে কি পারে, সেদিন ছুটির মাতন লাগায় অজয়নদীর ধারে । তার পরে সব শাস্ত হলে ফেরে আপন দেশে, মা তাহদের বকুনি দেয়, গল্প শোনায় শেষে । বড়ো খবর কুলমি বললে, তুমি যে বললে এখনকার কালের বড়ো বড়ো সব পবর তুমি আমাকে শোনাবে, নইলে আমার শিক্ষা হবে কী রকম ক’রে দাদামশায় । দাদামশায় বললে, বড়ো খবরের ঝুলি বয়ে বেড়াবে কে বলে, তার মধ্যে যে বিস্তর রাবিশ । সেগুলো বাদ দা ও-না ! বাদ দিলে খুব অল্প একটু বাকি থাকবে, তখন তোমার মনে হবে ছোটো খবর। কিন্তু আসলে সে'ই থাটি খবর । আমাকে খাটি খবরই দাও । তাই দেব। তোমাকে যদি বি-এ পাশ করতে হ’ত, সব রাবিশই তোমার টেবিলে উচু করতে হত ; অনেক বাজে কথা, অনেক মিথ্যে কথা, টেনে বেড়াতে হত খাতা