পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tev রবীক্স-রচনাবলী অবস্থাভেদে নব নব বিপ্লবের তাড়নায় অগ্রসর হইতে হইয়াছে, তাহাতে সম্বেছমাত্র নাই— এবং ইতিহাসে তাহার চিহ্ন পাওয়া যায়। কিন্তু, তাহার চলা একেবারে শেষ হইয়াছে, এখন হইতে অনন্তকাল সে সনাতন হইয়া বসিয়া থাকিবে, এমন অদ্ভূত কথা মুখে উচ্চারণ করিতেও চাই না। এক-একটা বড়ো বড়ো বিপ্লবের পর সমাজের ক্লাস্তি আসে ; সেই সময় সে দ্বার বন্ধ করিয়া, আলো নিভাইয়া, ঘুমের আয়োজন করে। ८बोरुदिभरवव्र श्रीब्र उॉब्रङवर्ष नख निब्रटबब्र शक्लकांब गयरष्ठ मब्रछा खांनणां दक कब्रिब्रा একেবারে স্থির হইয়া শুইয়া পড়িয়াছিল। তাহার ঘুম আসিয়াছিল। কিন্তু ইহাকে অনন্ত ঘুম বলিয়া গর্ব করিলে সেটা হান্তকর অথচ সকরুণ হইয়া উঠিবে। ঘুম ততক্ষণই ভালো যতক্ষণ রাত্রি থাকে— বাহিরে যতক্ষণ লোকের ভিড় নাই, বড়ো বড়ো দোকানবাজার যতক্ষণ বন্ধ। কিন্তু, সকালে যখন চারি দিকে হাকডাক পড়িয়া গেছে, তুমি চুপচাপ পড়িয়া থাকিলেও আর-কেহ যখন চুপ করিয়া নাই, তখন সনাতন দরজা আটেঘাটে বন্ধ করিয়া থাকিলে অত্যন্ত ঠকিতে হইবে । রাত্রিকালের বিধান সাদাসিধা ; তাহার আয়োজন স্বল্প ; তাহার প্রয়োজন সামান্ত । এইজন্ত সমস্ত ব্যবস্থা বেশ সহজেই সম্পূর্ণ করিয়া, নিরুদবির হইয়া চোখ বোজা মতৰ হয় ; তখন যেখানে যেটি রাখি সেখানে সেটি পড়িয়া থাকে, কারণ, নাড়া দিবার কেছ নাই । দিনের বেলাকার ব্যবস্থা তত সহজ নহে ; এবং তাছা ভোরের বেলা একবারের মতো সারিয়া ফেলিয়া তাহার পর সমস্ত দিনটা নিশ্চিন্ত হইয়া তামাক খাইতে থাকা চলে না। ঘাড়ের উপর কাজ আলিয়া পড়ে, নূতন নূতন চেষ্টা করিতেই হয়, এবং বাহিরের জীবনস্রোতের সঙ্গে নিজের জীবনযাত্রাকে বনাইতে না পারিলে খাওয়াদাওয়া কাজকর্ম সমস্তেরই ব্যাঘাত ঘটিতে থাকে। কিছুকালের জন্ত ভারতবর্ষ অত্যন্ত বাধা নিয়মের নিশ্চল ব্যবস্থার মধ্যে স্বচ্ছদে রাত্রিযাপন করিয়াছে। সেই অবস্থাটা গভীর আরামের বলিয়াই সেটা যে চিরকালই আরামের হইবে তাহা নহে। আঘাত সবচেয়ে কঠিন বেদনাজনক যখন তাহা ঘুমন্ত শরীরের উপর জালিয়া পড়ে। দিনের বেলা সেই আঘাতের সময় । এইজস্ব দিনে জাগিয়া থাকাই সবচেয়ে আরামের । ইচ্ছা করি আর না করি, সর্বাঙ্গে জালস্ত জড়াইয়া থাক জায় না খাৰু, আমাদের জাগিবার সময় আসিয়াছে। আমরা সমাজের ভিতর হইতে ও বাছির হইতে আঘাত পাইতেছি, দুঃখ পাইতেছি। আমরা দৈত্তে ঘূর্তিক্ষে পীড়িত। সমাজব্যবস্থায় ভাঙন ধরিয়াছে ; একান্নবর্তী পরিবার খণ্ড খণ্ড হইয়া পড়িতেছে ; এবং সমাজে ৰাক্ষণের পর ক্রমশই এমন খাটে হইয়া আসিতেছে যে, ৰাহ্মণসমাজ প্রভৃতি সভা