ছেলেবেলা )لها هوك রোঙ্গুরে। দূরে বিক বিক করে কালদিঘির জল। চিক চিক করে বালি। ভাঙার উপর থেকে ঝুঁকে পড়েছে ফাটল ধরা ঘাটের দিকে ভালপালা-ছড়ানো পাকুড় গাছ । , r= গল্পের আতঙ্ক জমা হয়ে আছে না-জানা মাঠের গাছতলায়, ঘন বেতের ঝোপে। যত এগোচ্ছি ঘর ছয় করছে বুক। বাশের লাঠির জাগা দুই-একটা দেখা যায় ঝোপের উপর দিকে । কাধ বদল করবে। বেহারাগুলো ঐখানে । জল খাবে, ভিজে গামছা জড়াবে মাথায় । তার পরে ?—
- রে রে রে রে রে রে !"
속 সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পড়াশুনোর জাতাকল চলছেই । ঘর্ঘর শব্দে এই কলে দম দেওয়ার কাজ ছিল আমার সেজদাদা হেমেন্দ্রনাথের হাতে । তিনি ছিলেন কড়া শাসনকর্তা। তদূরার তারে অত্যন্ত বেশি টান দিতে গেলে পটাং করে যায় ছিড়ে । তিনি আমাদের মনে যতটা বেশি মাল বোঝাই করতে চেয়েছিলেন তার অনেকটাই ডিঙি উলটিয়ে তলিয়ে গেছে, এ কথা এখন আর লুকিয়ে রাখা চলবে না। আমার বিস্তেটা লোকসানি মাল। সেজদাদা তার বড়ো মেয়েকে শিখিয়ে তুলতে লেগেছিলেন। যথাসময়ে তাকে দিয়েছিলেন লোরেটোতে ভরতি করে। তার পূর্বেই তার ভাষায় প্রথম দখল হয়ে গেছে বাংলায় । প্রতিভাকে বিলিতি সংগীতে পাকা করে তুললেন। তাতে করে তাকে দিশি গানের পথ জুলিয়ে দেওয়া হয় নি লে আমরা জানি । তখনকার দিনে ভদ্র পরিবারে হিন্দুস্থানি গানে তার সমান কেউ ছিল না। বিলিতি সংগীতের গুণ হচ্ছে তাতে স্বর সাধানো হয় খুব খাটি করে, কান দোরস্ত হয়ে যায়, আর পিয়ানোর শাসনে তালেও টিলেমি থাকে না । এ দিকে বিষ্ণুর কাছে দিশি গান শুরু হয়েছে শিশুকাল থেকে । গানের এই পাঠশালায় আমাকেও ভরতি হতে হল। বিষ্ণু ৰে গানে হাতেখড়ি দিলেন এখনকার কালের কোনো নামী বা বেনামী ওস্তাৰ তাকে ছুতে ঘৃণা করবেন। সেগুলো পাড়াগেয়ে ছড়ার অত্যন্ত নীচের তলায়। দুই-একটা নমুনা দিই— এক ৰে ছিল বেদের মেয়ে * এল পাড়াতে “ লাখের উলকি পরাতে।
