পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীক্স-রচনাবলী و e وهنا সেই ভরপুর পানের গামলা-অনেক দিন হল সরে পড়েছে, আর সেই ইকোবরদার জাতটা লাজ খুলে ফেলে ময়রা দোকানে তিন দিনের বালি সম্বেশ চটকে চটকে সেই অজানা গাইয়ে আপন ইচ্ছেমত রয়ে গেলেন কিছুদিন। কেউ প্রশ্নও করলে না । ভোরবেলা মশারি থেকে টেনে বের করে তার গান শুনতেম। নিয়মের শেখা ষাদের ধাতে নেই, তাদের শখ অনিয়মের শেখায়। সকাল বেলার স্বরে চলত ‘বঙশী হুমারি রে’ । তার পরে যখন আমার কিছু বম্বেল হয়েছে তখন বাড়িতে খুব বড়ো ওস্তাদ এলে বললেন যন্থ ভট্ট। একটা মন্ত স্কুল করলেন, জেদ ধরলেন আমাকে গান শেখাবেনই ; সেইজন্তে গান শেখাই হল না। কিছু কিছু সংগ্রহ করেছিলুম লুকিয়ে-চুরিয়ে— ভালো লাগল কাফি স্বরে ‘রুম ঝুম বরখে আজু বাদরওয়া', রয়ে গেল আজ পর্যন্ত আমার বর্ধার গানের সঙ্গে দল বেঁধে । মুশকিল হল, এই সময়ে আর-এক অতিথি হাজির হল কিছু না বলে কয়ে । বাঘ-মারা বলে র্তার খ্যাতি। বাঙালি বাঘ মারে এ কথাটা সেদিন শোনাত খুব অদ্ভুত, কাজেই বেশির ভাগ সময় আটকা পড়ে গেলুম তারই ঘরে । যে বাঘের কবলে পড়েছিলেন বলে আমাদের বুকে চমক লাগিয়েছিলেন সে বাঘের মুখ থেকে তিনি কামড় পান নি, কামড়ের গল্পটা আন্দাজ করে নিয়েছিলেন মিউজিয়মে মরা বাঘের ই থেকে— তখন সে কথা ভাবি নি, এখন সেটা পই বুঝতে পারছি। তৰু তখনকার মতো ঐ বীরপুরুষের জন্ত ঘন ঘন পান-তামাকের জোগাড় করতে ব্যস্ত থাকতে হয়েছিল। দূর থেকে কানে পৌছত কানাড়ার আলাপ । এই তো গেল গান। সেজদাদার হাতে আমার অন্ত বিস্তের যে গোড়াপত্তন হয়েছিল সেও খুব ফলাও রকমের । বিশেষ কিছু ফল হয় নি, লে স্বভাবদোষে। আমার মতো মাস্থ্যকে মনে রেখেই রামপ্রসাদ লেন বলেছিলেন, 'মন, তুমি কৃষিকাজ বোঝে না ।” কোনোদিন আবাদের কাজ করা হয় নি। চাষের স্বাচড় কাটা হয়েছিল কোন কোন খেতে তার খবরটা দেওয়া যাক । অন্ধকার থাকতেই বিছানা থেকে উঠি, কুস্তির লাজ করি, শীতের দিনে শিরশির করে গায়ে কাটা দিয়ে উঠতে থাকে। শহরে এক ডাকলাইটে পালোয়ান ছিল, কানা BBBBBS BB BBBB BB BBD S DBBBBD DD BB DDS DDS DDS তাকে বলা হয় গোলাবাড়ি । নাম শুনে বোঝা যায়, শহর একদিন পাড়াগাটাকে জাগা