পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছেলেবেলা ఆసిరి পূর্বদিকের চিলেকোঠার ছায়ায় জ্যোতিদাদার কফি খাওয়ার সরঞ্জাম হত সকালে । সেই সময়ে পড়ে শোনাতেন তার কোনে-একটা নতুন নাটকের প্রথম খসড়া । তার মধ্যে কখনো কখনো কিছু জুড়ে দেবার জন্তে আমাকেও ডাক পড়ত আমার অত্যস্ত কাচা হাতের লাইনের জন্তে । ক্রমে রোদ এগিয়ে আসত— কাকগুলো ডাকাডাকি করত উপরের ছাদে বসে রুটির টুকরোর পরে লক্ষ করে । দশটা বাজলে ছায়া যেত ক্ষয়ে, ছাতটা উঠত তেতে। দুপুরবেলায় জ্যোতিদাদা যেতেন নীচের তলায় কাছারিতে। বৌঠাকরুন ফলের খোসা ছাড়িয়ে কেটে কেটে যত্ন করে রুপোর রেকাবিতে সাজিয়ে দিতেন। নিজের হাতের মিষ্টান্ন কিছু কিছু থাকত তার সঙ্গে, আর তার উপরে ছড়ানো হত গোলাপের পাপড়ি । গেলাসে থাকত ভাবের জল কিংবা ফলের রস কিংবা কচি তালশাস বরফেঠাণ্ড-করা । সমস্তটার উপর একটা ফুলকাটা রেশমের রুমাল ঢেকে মোরাদাবাদি খুঞ্চেতে করে জলখাবার বেলা একটা-দুটোর সময় রওনা করে দিতেন কাছারিতে । তখন বঙ্গদর্শনের’ ধুম লেগেছে ; স্বর্যমুখী আর কুন্দনন্দিনী আপন লোকের মতো আনাগোনা করছে ঘরে ঘরে । কী হল কী হবে, দেশস্কন্ধ সবার এই ভাবনা । বঙ্গদর্শন এলে পাড়ায় দুপুর বেলায় কারও ঘুম থাকত না । আমার স্ববিধে ছিল, কাড়াকড়ি করবার দরকার হত না ; কেননা আমার একটা গুণ ছিল, আমি ভালো পড়ে শোনাতে পারতুম। আপন মনে পড়ার চেয়ে আমার পড়া শুনতে বৌঠাকরুন ভালোবাসতেন। তখন বিজুলিপাখা ছিল না, পড়তে পড়তে বৌঠাকরুনের হাতপাখার হাওয়ার একটা ভাগ আমি আদায় করে নিতুম। S\ల মাঝে মাঝে জ্যোতিঙ্গাধা যেতেন হওয়া বদল করতে গঙ্গার ধারের বাগানে । বিলিতি সওদাগরির ছোওয়া লেগে গঙ্গার ধার তখনো জাত খোওয়ায় নি। মুষড়ে বায় নি তার দুই ধারে পাখির বালা, আকাশের আলোয় লোহার কলের শুড়গুলো ফুলে দেয় নি কালো নিশ্বাস । هي গঙ্গার ধারের প্রথম যে বালা আমার মনে পড়ে, ছোটো সে দোতলা বাড়ি। নতুন বর্ব নেমেছে। মেঘের ছায়া ভেলে চলেছে স্রোতের উপর ঢেউ খেলিয়ে, মেঘের ছায়া কালো হয়ে ঘনিয়ে রয়েছে ও পারে বনের মাথায় । অনেকবার এইরকম দিনে নিজে গান ১ গুৰ\৭ ১২৭৯ ৰে" ইং১৮৭২ এত্তি(\ २७१e०